বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

স্মৃতির ঠিকানা

মুজাহীদুল ইসলাম নাজিম
  ১০ মে ২০২৪, ০০:০০
স্মৃতির ঠিকানা

রত্না যেন হিমেলকে ছাড়া এক পা চলতে পারে না। সব প্রকার খেলাতে অংশগ্রহণ করতেই হবে তার। আর যদি সেই সব খেলাতে উপস্থিত থাকে হিমেল, তাহলে তো কথাই নেই। কানামাছি খেলতে গিয়ে হিমেলকে জড়িয়ে ধরতে পাড়াটা সবচেয়ে বড় বিজয় হিসেবে নিত রত্না। নদীতে ঝাঁপ খেলতে নেমে পানির নিচ দিয়ে এসে হিমেলের পা জড়িয়ে ধরে আঁতকে দেওয়া খুব সখের বিষয় ছিল। সবসময় হিমেলকে নিয়ে ভাবতেই ভালোবাসতো সে। গাছের আম, জাম, লিচু, পেয়ারা, অরবরই, আমলকী, করমচা ইত্যাদি হিমেলকে না খাইয়ে নিজে উদরস্ত করত না। রত্নার প্রতিও হিমেলের মায়া ছিল অগাধ। বিচার-বিবেচনায় রত্নার চার ভাগের এক ভাগও না। সমবয়সি ছেলে-মেয়ের মধ্যে সাধারণত মেয়েই আগে যৌবনে পদার্পণ করে। রত্নার ক্ষেত্রেও এর অন্যথা ঘটেনি, তা তার চলন বললেই বোঝা যায়। দুজন একই শ্রেণিতে। এক স্যারের কাছেই প্রাইভেট পড়ে। স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেবিলের নিচে হিমেলের পায়ের সঙ্গে ওর পায়ের মধুর সাক্ষাৎ ঘটায় রত্না। এতে হিমেল যথেষ্ট ইতস্তত বোধ করে। নিজের পা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতেও সময় ক্ষেপণ করল না। একই কাজের পুনরাবৃত্তি হরহামেশাই ঘটত। রত্না হিমেলকে কিসের দাওয়াত দেয় হিমেল বুঝেও বুঝে না। যৌবন একদিন সুকৌশলে দেহের খিড়কি ভেঙে ঠিকই হিমেলের মনের ভেতর প্রবেশ করল। হিমেলের মনের ভেতর কেমন জানি একটি শিহরণ ঘা মেরে হেলে-দোলে কোথাও গিয়ে হারিয়ে যায়। আজকাল হিমেলও বেশ ভাবতে শিখেছে। ভাবনার কাঁটা ভরা শরীর হাতিয়ে হিমেলের হাতও রক্তাক্ত হয়েছে, নেহায়েত কম নয়। খেলায় ডুবে থেকে এতদিন বুঝতেও পারেনি কতদিন আগে বিদায় নিয়েছে কৈশোরকাল। আজকাল রত্নার শরীরটা বেশ অন্যরকমই ঠেকে হিমেলের কাছে। কখনো কখনো নিজের শরীরটাকে লজ্জাকূপে ধপাস করে ফেলে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে নিঃশব্দে বোকার মতো দাঁড়িয়েও থাকে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিমেলের কাছে রত্না শুধু খেলার সাথী হলেও রত্নার কাছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল একথাটা হিমেল বুঝল দশম শ্রেণিতে এসে। রত্নার বংশে শিক্ষিত লোকের যথেষ্ট অভাব থাকলেও হিমেলের বংশে মূর্খ লোকের অভাব তার চেয়েও বেশি। শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বেশি থাকায় নিয়মানুযায়ী লেখাপড়া থেকে নিজেকে দূরে রাখা অনেকটা কঠিন হিমেলের পক্ষে। পক্ষান্তরে রত্না শুধু হিমেলের সঙ্গে মেশার জন্য ফাঁক-ফোকর খুঁজে বেড়ায়। বাদ সাধে পাড়ার লোক। ইদানীং পাড়ার লোকজনের চোখেও বিষয়টি ভালো ঠেকছে না যা রত্না- হিমেলও বুঝতে পারল। রত্না কাঁটা ভরা পথ পেরিয়ে হিমেলের সঙ্গ পাওয়ার উপায় বের করতে চাইলেও হিমেল নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে নিল। এখন আর আগের মতো সময় দেওয়া হয় না রত্নাকে। লেখাপড়ায় খুব মনোযোগ বেড়েছে হিমেলের। বলতে গেলে রত্নার কাছ থেকে ইচ্ছে করেই নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে সে। রত্নার জীবনটা একাকিত্বে বিষময় হয়ে পড়েছে জেনেও হিমেলের যেন কিছুই করার নেই। একটু-আধটু দেখা হলেও রত্নার মনের কথা, চোখের কথা কিছুই বোঝার চেষ্টা করে না হিমেল। সামনে এসএসসি পরীক্ষা দুজনেরই। যার যার মতো প্রস্তুতি শেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একে একে সবক'টি পরীক্ষা শেষ করে রেজাল্টের অপেক্ষায় অলস সময় পার করছে উভয়ে। ইদানীং আবার রত্নার দৌড়ঝাঁপ একটু বেড়ে গেছে। হিমেলকে ঘিরে পাড়ার লোকের বলাবলি আর বাড়ির লোকেদের ভয়ে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রত্নার মতের পথে পা রাখতে পারছে না হিমেল। রত্নার প্রাণপণ চেষ্টা আলোর মুখ না দেখেই মৃতু্যকে বরণ করে। আজ হিমেলের মা-বাবা তার নানির বাসায় যাওয়াতে দুই বন্ধুকে নিয়ে নিজ গৃহে রাত্রি যাপনের অনুমতি মিলেছে। রাত্রিটা বেশ ভালোই কাটবে, হিমেলের এমনটাই প্রত্যাশা। প্রত্যাশানুযায়ীই চলছে তিন বন্ধুর রাত্রি যাপন। গান, কবিতা ও কৌতুকের সাগরে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়ে আনন্দে মেতে উঠল। এমন বাঁধনহারা আর কোনোদিন হয়েছে বলে মনেও পড়ছে না হিমেলের। মনের আনন্দে দুই বন্ধুর পরে সিরিয়াল অনুযায়ী মাত্র গান ধরেছে সে। 'এই ভালোবাসা বেঁচে থাকবে- এই ভালোবাসা বেঁধে রাখবে- সুখের স্মৃতির মতো হারিয়ে গেলে পেছন থেকে সে তো ডাকবেই ...।' পরের কলিতে প্রবেশ করার পূর্বেই বাইরের কোনো এক শব্দ হিমেলের গলা চেপে ধরল। তাই তো গলায় কোনো শব্দ আনার চেষ্টা না করে কানের সব যন্ত্রকে অনুরোধ জানাল বাইরে কিসের শব্দ তা শোনার জন্য। হ্যাঁ- দরজায় মৃদু শব্দ হচ্ছে। তিন বন্ধুর শরীর শীতল হয়ে এলো। এত রাতে দরজার সামনে কে হতে পারে! আগের রাতে পাশের গ্রামে ডাকাত পড়েছিল। হায় হায় ডাকাত নয়তো! তিন বন্ধুর মাথাগুলো একত্রিত হয়ে এলো। একেকজন একেক মন্তব্য করার আগেই আবার দরজায় শব্দ হলো। কিন্তু কোনো কথা বলছে না কেউ। এগারোটা গ্রামে নেহায়েত কম রাত নয়। ভয়ে তিন বন্ধুর গায়ের লোমগুলো কাঁটা হয়ে গেল। রুমের ভেতরে পিনপতন নীরবতা। এবার বাইরে থেকে বাতাসের কল্যাণে ফিসফিস শব্দ এলো। কে যেন বলছে- 'হিমেল, দরজা খোলো।' যেটুকু শব্দ কানে এলো তাতে বোঝার উপায় হলো না কোন বয়সি মানুষ। নারী না পুরুষ। অনেক চেষ্টায় হিমেল সামান্য সাহস সঞ্চার করে উপরের তালুতে লেগে যাওয়া জিহ্বাকে আলাদা করে বলে উঠল, 'কে রে ওখানে?' টসটসে কচি ডাবের মুখ ছুটানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু পানি যেমন অন্যত্র গিয়ে পড়ে ঠিক তেমনই হিমেলের কথাটি দরজায় গিয়ে লাগল। এবার ওপাড় থেকে স্পষ্ট শব্দ এলো, 'আমি রত্না'। মুহূর্তেই এক জায়গা হতে আরেক জায়গায় ছিটকে পড়ল হিমেল। আগেও ছিল ভয়, এখনো ভয়। আগেরটা ছিল অর্থ এবং পরেরটা দেহের সঙ্গে জড়িয়ে, এবার চরিত্রে। আর ভাবনার পেছনে সময় না দিয়ে রত্নাকে সময় দেওয়ার মনস্থির করে দরজা খুলে দিল হিমেল। দরজার মুখেই দাঁড়িয়ে আছে রত্না। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সে একা নয়, সঙ্গে কেউ একজন আছে। অন্ধকার বেশি থাকায় চেনা যাচ্ছে না। তবে রত্নাকে নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ অনেক দিনের জানাশোনা মানুষের গন্ধও কথা বলে। খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে হিমেল ও রত্না। হিমেল চৌকাঠের দু'পাশে দু'পা রেখেই বলল, কি ব্যাপার রত্না তুমি এত রাতে? রত্না বলল, ঘরের বাতিটা জ্বালাও, পরে কথা বলি। হিমেল বলল, ঘরে আমার বন্ধুরা আছে। রত্না বলল, তা তো গান শুনেই বুঝতে পারছি। আছে থাক, তাতে কী হয়েছে? হিমেল বাতি জ্বালিয়ে দিল। ঘরের আলো বাইরে পড়তেই হিমেল বলল আরে! মিতু আন্টিকে নিয়ে এসেছ? এসো, ঘরে এসো, আন্টি ঘরে আসেন। মিতু আন্টি কিছু বলার আগেই রত্না বলল, হিমেল আব্বু-আম্মু নানুদের বাড়িতে গেছেন। আন্টিকে রেখে গেছেন আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু খুব ভয় লাগছে। বিছানায় যেতে পারছি না দুজন। তুমি কি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে? তোমার এখানে তো ওরা দুজন আছেই। আসলে বাড়িজুড়ে কোনো পুরুষ মানুষ নেই তো, তাই আর কি। হঁ্যা বা না এর উচ্চারণ শেষ না হতেই হিমেলের হাত ধরে টান দিয়ে মিতু বলল, চলতো মামা, আমরা ডরাই। মেয়ে মানুষ ভয় নিবারণের জন্য ছেলের সাহায্য কামনায় ছেলের বাড়ি, ছেলের কি আর ভাবনার জগৎ মাড়ানোর সময় আছে? গায়ে একটি গেঞ্জি জড়িয়ে বন্ধুদের মৃদু সম্মতিতেই রত্নাদের সঙ্গে হাঁটল হিমেল। দুই বাড়ি পরেই রত্নাদের বাড়ি। এতটুকু পথ হাঁটতেই হিমেলের লুঙ্গি পঁ্যাচ খেয়েছে কয়েকবার। শুধু এক ঘরেই নয়, এক খাটে শোবার ব্যবস্থাই করল রত্না। সমস্যা নেই, নেই কোনো পাপও। কারণ, সঙ্গে যে আন্টি আছে। যদিও বা আন্টির বয়স ওদের দুজনের তুলনায় খুব বেশি নয়। কথায় কথায় রাত না বাড়িয়ে ঘুম হাওয়ায় নিজেদের ভাসানোর জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দিল তিনজন। মিতু আন্টি মাঝখানে আর দু'পাশে দু'জন। মরা সাপের মতো সোজা হয়ে পড়ে রইল হিমেল। সামান্য নাড়াচড়াতেই যেন লজ্জার কূপে পড়ে যাবে। রাত যতই গভীর হচ্ছিল তিনজনের শ্বাস-প্রশ্বাস মিলেমিশে ভিন্নরকম পরিবেশের সৃষ্টি করছিল বন্ধ ঘরটিতে। ওরা দুজন ঘুমালে অন্য কাতে শুবে হিমেল। এ অপেক্ষা অনেকটা আগে থেকেই করছিল সে। যেই অনুমান করল পাশে শুয়ে থাকা মিতু আন্টি ঘুমিয়েছে আনন্দে নেচে উঠল হিমেলের মন। কারণ এবার একটু নাড়াচড়া করা যাবে আয়েশে। মিতুর ঘুমের অপেক্ষায় রত্নাও ছিল এটা হিমেল তখনই বুঝল যখন মিতুর ঘুমন্ত দেহকে ফাঁকি দিয়ে রত্নার হাত এসে পড়ল ভাঁজ পড়ে থাকা কপালে রাখা হিমেলের হাতের উপর। নতুন অনুভূতি সজাগ করে দিল হিমেলের আপন ভুবন। রত্না এর চেয়ে বেশি এগুতে পারেনি প্রাচীরসম মিতু আন্টির জন্য। হয়তোবা আরও কিছুটা এগুনো যেত হিমেলের সহযোগিতা পেলে। দুটি প্রাণ পড়ে রইল নির্ঘুম। না বলা কথারা পাড়ি জমাল মৃতু্যর মিছিলে। চাইলেই হিমেল এবার ফিরে যেতে পারে আপন গৃহে। এ বার্তা জানাল ভোরের দোয়েল। হিমেল সোজা হয়ে বসতেই রত্নাও বসে পড়ল। যেন হিমেলের চলে যাওয়ার বার্তা আগেই পেয়ে গেছে রত্না। হিমেল রত্নাকে বলল, এবার যাই। যাও, খুব কষ্ট দিলাম, ঘুম হয়নি বুঝি? রত্নার চোখের তারায় চোখ রেখে হিমেল বলল, তোমার চেয়ে বেশি নয়। রত্নাও সারারাত সজাগ ছিল এটা হিমেল জানে। এটি যেন রত্নার আনন্দের বিষয়। প্রত্যাশিত চোখে হিমেলের দিকে তাকিয়ে আবার বলল, যাও। ভালো থেক। হিমেল চলে গেল, তখনো মিতু আন্টি ঘুমায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা রঙের রসাত্মক-ব্যাঙ্গাত্মক কথার তীরে বিদ্ধ করেছে হিমেলকে তার বন্ধুরা। যার কারণে হিমেলের কাছে ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে রত্না। সময়ের পাখায় ভর করে সময় পেছনে গিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল এসএসসির রেজাল্ট। রেজাল্ট হিমেলের অনেক ভালো হলেও রত্নাকে শুধু ভালো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। রেজাল্ট এসেছিল হিমেলকে রত্নার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য- এমনটি ভাবতে লাগল রত্না। কারণটা হলো, রেজাল্ট পরবর্তী সময়ে হিমেলকে আর খুঁজেই পেল না। হিমেলের অভিভাবকদের স্বপ্নের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভিন্ন কোনো গ্রহে নিক্ষেপ করেছে নিজেকে। এ বোধ হিমেলের মধ্যে তখনই আসত যখন হিমেলকে নির্জনতা গ্রাস করে নিত। নিজের অজান্তেই হিমেল উঠে বসল কালের গতিময় তরীতে। যে তরী দুজনের মাঝে তুলে দিল কঠিন দেয়াল। যে তরী হিমেলকে নিয়ে গেল রত্না থেকে যোজন-যোজন দূরে। একক ইচ্ছায় পৃথিবীতে অনেক অসাধ্য সাধন হলেও রত্নার ইচ্ছা আলোর মুখ না দেখেই অন্ধকার খাঁচায় কাঁটা ভরা বিছানায় রয়ে গেল। অনার্স শেষ করার পর নিজেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বেঁধে দিল রত্না। কল্পরাজ্যে হিমেলকে পাশে দেখতে ভালো লাগলেও কেমন যেন লজ্জাবোধ করে রত্না। কারণ, এতদিনে সে বুঝতে পেরেছে এ শুধু একক ভাবনাই। শিক্ষায় বিসিএস করে সম্মানজনক জায়গায় অবস্থান করছে হিমেল। সময়ের ভাসমান ভেলা বিয়ের পিঁড়িতে বসাল হিমেলকে। নববধূর আগমনে পাড়ার প্রায় মহিলাদের আনাগোনাই যেন হিমেলদের বাড়িতে। সবার পরে হলেও রত্না এসেছে হিমেল এবং তার স্ত্রীকে দেখতে। নববধূকে দেখে রত্না গিয়ে উঠল হিমেলের পড়ার রুমে। হিমেল আঁতকে উঠে বলে উঠল কেমন আছো রত্না? রত্না তার কোনো উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে বসল, আমি কম ছিলাম কিসে? অপলক তাকিয়ে কিছুটা সময় পার করে হিমেল বলল, দেখেশুনে তুমিও একটি বিয়ে করে নাও। রত্না ভেজা কণ্ঠে বলল, কি বলছ এসব? আমি বিয়ে করব কেন? এই মেয়েটা তোমার দ্বিতীয় স্ত্রী- পক্ষান্তরে প্রথম স্ত্রী কিন্তু আমিই। কেন মনে নেই? সেই যে ছোটবেলা মটকাবনে আনু খালা, শেলী আপা, রাসেল, সোহাগ আর রতন ভাইয়ের উপস্থিতিতে এমরান মুন্সী সেজে তোমার-আমার বিয়ে পড়াল। আমার কাছ থেকে তিনটি কবুল নিয়ে তোমার কাছে গেল। বাকরুদ্ধ হিমেলের দিকে জলে ভরা লাল চক্ষুর তীর ছুড়ে রত্না এও বলল, এক জীবনে রত্নার বিয়ে একটাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে