ডুকরে কাঁদে যমুনা
ফুলের ভেতর ফুল সাজালে, হয় যে ফুলের থোকা।
ভুলের ভেতর ভুল সাজালে, খায় যে লোকে ধোঁকা!
ছোট বড় নানান কাজের, ভুল খোঁজে না বোকা!
বয়স কালে আউলা বাউলা, কুজন বুড়ো খোকা।
না বুঝে দিন, না বুঝে রাত, তালগাছটাও মরে!
দিনকানা দিল, দরজার খিল, গুমোট জীবন ভরে।
যায় যদি মাছ উল্টো স্রোতে, কিছুই কমু না।
স্রোতের ভেতর ডুকরে কাঁদুক, সচল যমুনা!
জানবে না তো লোকে
জনম জনম কাঁদবো আবার ভাসবো নয়ন জলে।
দক্ষিণ দুয়ার রাখবো খোলা, আইসো বাতাস ছলে!
সেই বাতাসে দুলবো হেলে, দেখবো মায়ার চাঁদ।
চাঁদের আলোয় গা জুড়াবে, জোছনা মায়া ফাঁদ।
মায়ার টানে, দূর গগনে, মেঘ জমালে তুলায়,
মন গলানো হিমেল হাওয়ায়, কে-সে ছেলে ভুলায়?
ভুলের ছেলে, এলেবেলে, জনম কাঁদার চোখে;
\হকে কাঁদিবে? কে ভাসিবে? জানবে না তো লোকে!
এক মায়াবি চাঁদ
এক মায়াবি চাঁদ পেতেছে, রুপোর থালার ফাঁদ,
সেই ফাঁদে পা আটকে আছে, জীবন বরবাদ!
জমাট জলের পুকুর ঘাটে, জোসনা মাখি গায়।
গরম দাহে শিরশিরে দম, গা জুড়িয়ে যায়!
জনম ধরে দেখছি তারে, ধ্রম্নপদী তার রূপ!
তার সাথে মোর হাঁটছে দু'পা, দাঁড়িয়ে থাকি চুপ।
হচ্ছে ছোটো, হচ্ছে বড়ো, হচ্ছে রুপোর থালা।
এই চাঁদে মন আটকে থাকে, সুখের সম জ্বালা!