অর্ধমৃত গোলাকার একটি গ্রহের পিঠে দাঁড়িয়ে আদিষ্ট আমি
প্রদক্ষিণ তৃষ্ণায় নিজের ভেতরে শিকার করি
ইন্দ্রিয়ের পর অতিন্দ্রিয় মানস প্রতিমা
অদৃশ্য অথচ সবচেয়ে শক্তিমান ওই সত্তা-
আমাকে ইঙ্গিতে ডেকে নিয়ে বলে দেয় শেষ কথার আগের কথা
আমি তৈরি হওয়ার সমূহ আঞ্জাম-আয়োজনে
ঢেলে দিই বোধ-বুদ্ধি-মেধার স্মারক এবং স্মারকের
অনুপুঙ্খ প্রতিটি ধারার সারমর্ম
আমাকে চিনতে পেরে ছয়জন একসাথে পথ আগলে দাঁড়ায়-
তারা জয় নিশ্চিত করার তীব্র বাসনায় ডেকে নেয়
আশপাশের যত সাঙাৎ
আমার উদ্দাম বাহু দুর্বিনীত শক্তির আধার
সব বাধা প্রতিহত করতে করতে
তাকিয়ে দেখে কে একজন বিপস্নবী স্স্নোগান
কণ্ঠে ধারণ করেই এগিয়ে আসে সমুখে
আমার শক্তি দ্বিগুণ তিনগুণ উচ্ছ্বাসে জঞ্জাল ঠেলে
দখল করে নেয় প্রকৃতির পাঠশালা
অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আমাকে বরণ করে নেয় গভীর আবেগে
সগৌরব সন্যাস ব্রতের যবনিকা টেনে অভিমানী যারা
চলে গেছে অরণ্যের আবাসনে
তারাও মহাউৎসাহে ফিরে আসে লোকালয়ে
একজন নেতা পেয়েছে বলেই তারা ধন্য
আবার এক তর্জনী আকাশ ফুঁড়ে ওঠে যাবে ঊর্ধ্বাকাশে
তারও ওপরে বিনয়ের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনে শান্তিময় পথ রচনার পর
দুর্বার উদ্যোগে প্রবৃত্তিকে পরাজিত করে তুলে আনবে আরাধ্য স্মারক
যে স্মারক কালোত্তীর্ণ সগৌরব স্থায়িত্বের
রেখায় সত্যের প্রলেপে রাঙিয়ে দেবে সার্বভৌমত্বের মানচিত্র
কঠিন আবেগে উচ্চারণের মাহাত্ম্যে
স্বাধীনতা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে সবার ওপরে।