ধ্বনিলিপি
মাতাল সৌরভে এখন আর মন দোলে না
রাঙা পৃথিবীতে শিশু ঘুমিয়ে পড়ে
অন্ধকারের কালো স্বাদ নেয় নিশাচর
পাথরের কাছ থেকে পাষাণলিপি শিখে এসেছি
পাখিদের ধ্বনিলিপি থেকে যা শিখেছি
মানুষ তা শেখাতে পারেনি
উষ্ণতা মাথায় নিয়ে পৃথিবী ঘুমায়
মানুষ ঘুমায় অসুস্থ লোভী মানসিকতা নিয়ে
স্বার্থের ধুলোমাখা পথ
রাশি রাশি চমকবিলাসী মন
গড়াগড়ি খায় দাপুটে পথে
খল খল পায়ে পথ হেঁটে যায়
ছল ছল নদীর মতো
গড়িয়ে যায় ধারাহীন জলে
বোধের চোরাবালিতে ডুবে যায় পথ
শোকার্ত প্রলাপ শেষে ঝিমিয়ে যায় স্বজন
ছায়াবৃক্ষ ভিজিয়ে দেয় ছায়াবৃষ্টি
নিশ্চিহ্ন পথেরও থাকে পথরেখা
স্বার্থের ধুলোমাখা পথে
মানুষ যতটা হাঁটে
হাঁটতে পারে না অন্য কোনো প্রাণী
ঝলসানো চরাচর
গভীর নিঃশ্বাস নেয়া পাতারা
বেশি আয়ু পায় না
ভূমি জেগে ওঠে
ভালোবাসা জেগে ওঠে না
ঝলসানো চরাচরে পদ্মা ফোটে না
ভেঙে যাওয়া হৃদয়ে
ফোটে না স্নেহগোলাপ
জলরঙ মন ভেজে না স্বচ্ছ জলে
বেদনার বীজ ছিটিয়ে যে ফসল ঘরে তুলি
তা কেবলই চিটা
ডানার চিন্তায় বিভোর থেকে
এক সময় পাখি হয়ে যাই
ভবিষ্যতের অথৈ পাথারে দাঁড়িয়ে
কী স্বপ্ন বুনছো তুমি
মুগ্ধ কারুকাজে সেজেছে কি
আজ নতুন পৃথিবী
ঢেউবিলাসী নদী
হৃদয়জীর্ণ ভালোবাসা
ভাটির টানে উবে গেছে
উন্মাতাল ছন্দে জীবন দোলে না
চিত্তঝলমল সময় ফুরিয়ে এলো দ্রম্নত
জীবনের প্রাচীন মৌনতা ফেলে
বসন্তডাকে কোকিল গলা ফোলায়
বসন্তবাতাসে কাঁপে নদীর কলেস্নাল
নদী দিতে পারে না বিশুদ্ধ জলের স্পর্শ
স্বপ্নসারথি নদী কতটা স্বপ্ন দেখাতে পারে
অজস্র মৃতু্য পেরিয়ে নদী বয়ে যায়
ঢেউবিলাসী নদী আর কত
চরম নিষ্ঠুরতা দেখাবে
দীর্ঘশ্বাস বহন করে রাত বড় হয়
দিন ছোট হয়ে আসে দুঃখ গুছিয়ে