মেয়েটি কোনো ছকবাঁধা জীবন চায়নি,
চেয়েছে পালকশুভ্র ভোরে
গাছের দোলনায় অবিরাম দুলতে,
পরিযায়ী পাখির মতো দিগ্বিদিক
উড়ে চলার মতো জীবনযাপন,
বদ্ধ খাঁচায় ছটফটে পাখির আকুতি
তার আবিষ্ট স্বপ্নকে করে বিদগ্ধ;
ঠেলে দেয় অন্ধকার ঝাপসা গহ্বরে,
মেয়েটির ক্রিমসন রঙের ইচ্ছেগুলো
ফ্যাকাশে পান্ডুবর্ণ হয়ে উবে যায়।
মেয়েটির চাওয়া ছিল ধনেপাতার সবুজ,
কাগজিলেবুর পাগল করা ঘ্রাণ,
মুঠো ভরে নিতে চেয়েছিল ভোরের ঘাস,
চেয়েছিল ধূপের মাতাল গন্ধের ঢুলুনি,
খুঁজেছিল শেষ হেমন্তে ভিজে যাওয়া
সোঁদামাটির ভেজা স্বাদ,
ও চায়নি এই বদ্ধ ঘরের নির্জনতা,
চৌকাঠের ভেতর ছটফটানি,
কিংবা বায়ুহীন দেয়ালের উৎকট গন্ধে
কলুষিত হোক ওর মায়াবী রাত।