তুমি আজ কোথায় শুয়েছিলে?
মাটি মাটি গন্ধ বুকের, শুয়েছিলে রাতে,
নক্ষত্রের দেশে, নাকি বিলের কোথাও বোরোর
আলটে তুমি শুয়েছিলে কোথায়?
বুকের দু'পাশে দেখি নতুন গজানো
দূর্বার আস্তরণে এতটাই অকৃত্রিম করেছে
তোমাকে যে তোমার ও মাটির মধ্যে
মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই,
একই দ্রাবিড় রঙ নির্বিকার চিত্রকল্প
ধূলোময় পৃথিবীর রূপ রস গন্ধের ভেতর
অনুপম দেহের আধারে তুমি এক মৃত্তিকার
অক্ষরে লেখা আরাধ্য সংস্কার।
শিশির কণা দূর্বাঘাসে ঝরে পড়েছে
মেঘের পায়চারীতে দিবাকর।
শীতের থাবা মেলেছে দিক-দিগন্তে
পরেছে দাদু ভাই নকশি চাদর।
দু'ঠোঁট ফেটে মাঠের মতোন চৌচির
থরথরিয়ে কাঁপছে পশুপাখি।
উনুনের শিখায় ছেঁকছে শবদাহ হাত
চির-গুড় খাচ্ছে মুড়িতে মাখি।
সূর্যটা উঠবে অরুণ আলো নিয়েই
গন্ধরাজ ফুটে উঠবে বাগানে।
গামছা বেঁধে ছুটবে কৃষক মাঠ পানে
চাঞ্চল্যতা ফিরবে জনজীবনে।