শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

গৈরিক বীর

অরূপ পালিত
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গৈরিক বীর

             

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহঙ্কার। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক উপন্যাস, গল্প, নাটক কবিতা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত আরেকটি উপন্যাস 'গৈরিক বীর'। লিখেছেন অমল বড়ুয়া। অমল বড়ুয়া রাউজানের আধারমানিক গ্রামের স্বনামধন্য জমিদার বাড়ি খ্যাত জনুলোথকের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সুদত্ত বড়ুয়া। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম, কবিতা লিখেছেন দু'হাত ভরে।

পরম শ্রদ্ধেয় সংঘনায়ক কেশরী মহাথেরো, ভদন্ত গুড়াধন মহাথেরো, বহু গ্রন্থপ্রণেতা পন্ডিত বিমলানন্দ মহাথেরো ও বুদ্ধিজীবী শহীদ জিনানন্দ ভিক্ষুর বংশধর তিনি।

আমার কাছে বইয়ের নামটাতে বেশ মনে ধরেছে। 

গৈরিক শব্দের অর্থ হচ্ছে স্বর্ণ। অলকসিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণের' গৈরুয়া বসন। বিশেষ করে এই জায়গায় গল্পকার স্বর্ণ মুদ্রার মতো একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সাধকে বুঝিয়েছেন। 

আর বীর শব্দের অর্থ আমার কাছে, বিপুল শক্তিমত্তা, দুঃসাহসিক কার্যাবলি সম্পাদন, বুদ্ধি কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে যুদ্ধ জয় করে স্বীয় সুনাম বৃদ্ধিসহ জাতীয় বীর তথা সুগভীর শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হন।

বইটি রচিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এবং বাঙালির অহঙ্কার নিয়ে। এই বইয়ে পাঠকের জন্য মূল মেসেজ হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ কারো একা ফসল নয়। এ মহতী অর্জনে কামার, কুমোর জেলে চাষি, তাঁতি, মজুর, ছাত্র-শিক্ষক ও ধর্মগুরু সবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সংসার-বিরাগী ধর্মগুরুরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন।

তিনজন বৌদ্ধ সন্নাসীর কর্মকান্ডে পাকিস্তান সরকার ও স্থানীয় রাজাকাররা কঠিন সমস্যায় পড়ে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোকে ঢাকায় নিজ বিহারে বন্দি করে রাখে, এসব ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত উপন্যাস 'গৈরিক বীর'। আমার কাছে তার বইটির নামকরণ সার্থক মনে হচ্ছে।

জলজ-কুয়াশার ঘন আস্তরনে ঢেকে আছে প্রভাতকল্পা প্রকৃতি। দিঘল সেতুকে গ্রাস করা কুয়াশার দেহ ঝিলি বিদীর্ণ করে উষর প্রকৃতির নির্জনতা ভেঙে তিনজন লোক সামনের দিকে হেঁটে আসছে। ভোরের কয়াশায় অগ্রসরমান লোকগুলোকে অস্পষ্ট ভৌতিক ছায়া মনে হচ্ছে?। গায়ে মোড়ানো তাদের ধূসর বাদামি রঙের কাশ্মীরি শালের প্রান্ত ছুঁয়ে বের হয়ে আছে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবির পাড়; মাথায় সাদা সুতোয় বোনা লতা-ফুলের কারুকার্য শোভিত সাদা টুপি।

প্রথম ব্যক্তি গায়ে মোড়ানো কাশ্মীরি শাল ঈষৎ ফাঁক করে বের করে আনল স্টেনগান। বাকি দু'জন সামান্য তফাতে আগ-পিছ করে দাঁড়িয়ে আছে। তারাও চাদরের ভেতর থেকে কী যেন বের করতে উদ্যত। সামনে এগিয়ে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি প্রথম কথা বলল, 'মুক্তিবাহিনীর উপদেষ্টা, মুক্তির দালাল তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি। তোমাকে ধরার জন্য এখানে সারা রাত ধরে ওতপেতে আছি। আজ তোমার জীবনের শেষ দিন।

তিন পাষন্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জিনানন্দ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তার চিন্তাশক্তি যেন নিদারুণ অবসন্নতায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে; মাঝে মাঝে বাতাসের ঝাঁপটায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও তার শরীর থেকে ফিনকি দিয়ে ছুটছে ঘামের ফোয়ারা। সব কিছু যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। দেহ পিঞ্জর থেকে বেরিয়ে আসবে। বিশ্বাস হচ্ছে না, মৃতু্য তার সামনে দাঁড়িয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

জিনানন্দ, তোমার আলস্নাহকে স্মরণ কর। পাকিস্তানের সাথে বেইমানি, তোমার শাস্তি মৃতু্যদন্ড। বলে চলল মোনতাজ।

এটা পাকিস্তান আছে, পাকিস্তান থাকবে; নে, এবার বুলেট নে, তোরে ওপারে পাঠাই, ওপারে গিয়ে স্বাধীনতা উপভোগ কর।

=০২=

উন্মত্ত ক্রোধে ট্রিগার চাপ দিল। সৌম্য শান্ত গৈরিক বসনধারী ভিক্ষু জিনানন্দ মৃতু্যর কয়েক মুহূর্ত দূরে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করলেন। তার কাঁধ ছুঁয়ে সাই করে একটা বুলেট চলে গেল। বন্ধ চোখ জোড়ায় ভেসে উঠল তার মায়ের মুখ। মা অসুস্থ।

শামসুল, মোমতাজ, শামসুলের বুলেট মিস্‌ হওয়ায় হতাশা ভেসে উঠে চোখে-মুখে।

জিনানন্দ বলে উঠল

কার নির্দেশে তোমরা আমাকে মারতে চাও?

আমি আমার অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছি। আমাকে যেতে দাও।

তুমি পাকিস্তান বিরোধী, জয় বাংলার পক্ষে কাজ করছ, মুক্তিদের সহায়তাকারী।

পাকিস্তানের মাটিতে কোন দেশদ্রোহী থাকতে পারবে না। 

জিনানন্দ বুঝতে পারছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এগিয়ে আসছে। মোমতাজ আর খলিল এগিয়ে এসে জিনানন্দের দুই বাহু ধরেছে।

'শালার গৈরিক চীবর খুলে নে। 'বলল শামসু'

জিনানন্দের শরীর মোড়ানো চীবরখানা খুলে নিল।

তিনজন জিনানন্দকে টেনে হিঁচড়ে ব্রিজের নিচে নিয়ে গেল। জিনানন্দর মাথার উপর রাইফেল তাক করল শামসুল। চোখ বন্ধ করে মনে মনে বললেন

'জয় বাংলা'। ঝিরি ঝিরি অন্ধকার মাড়িয়ে ভেসে উঠল মায়ের মুখ আর সেই মুখের ওপর পত পত করে উড়ছে লাল-সবুজের সমুজ্জ্বল পতাকা; নদী আর সূর্যের সঙ্গমস্থল হতে জেগে উঠেছে স্বাধীন দেশ, প্রিয় বাংলাদেশ।

এক অজানা শঙ্কা আর উদ্বিগ্নতার পারদ উঠানামা করছে বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোর মনে। ভয়ার্ত মানুষের নিদারুণ অসহায় মুখ পানে চেয়ে তার কোমল হৃদয় হু হু করে কেঁদে উঠেছে। 

মানবতার স্খলনের এই সময়ে বিশুদ্ধানন্দ মানবুার দৃপ্ত শপথে সবাইকে আশ্বস্ত করে বললেন, 'ভয় পাবার কিছু নেই; আপনারা সবাই এই প্রার্থনা হলের ভেতর আশ্রয় নেন; এখানে মর্টার শেল কিংবা বুলেট আঘাত হানতে পারবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই ভাই ভাই। বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো পাকিস্তান বৌদ্ধ কৃষ্টিপ্রচার সংঘের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি। তিনি শান্তিকামী মানবতাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য তিনি শান্তিদূত হিসেবেও পরিচিত।

বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো তার শিষ্য শুদ্ধানন্দ ভিক্ষু ও জ্ঞানদাররঞ্জন বড়ুয়াকে নিয়ে সচিবালয়ে যান।

সন্ধ্যায় বিহারে নিজ কক্ষে বসে বেতারে সংবাদ শুনেছেন। চট্টগ্রামের রাউজান থানার এক বৌদ্ধ বিহার গোলার আঘাতে সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু মারা গেছেন। এই সংবাদ শুনে বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল; এক অজানা ভয়ে প্রাণ ছটপট করে উঠল।

মে মাসে এক তারিখে গভর্নর টিক্কা খান বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোকে ডেকে পাঠালেন। বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো গভর্নর হাউসে উপনীত হয়ে দেখলেন চিফ অব স্টাফ হামিদ খান আর টিক্কা খান ছোট কক্ষে বসে আছেন।

হামিদ খান বললেন আপনাকে বৌদ্ধ রাষ্ট্রসমূহে যেতে হবে। এখানে যে আপনারা শান্তিতে আছেন সেটা বলবেন। তার কথা শুনে বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো মনে মনে ধিক্কার দিলেন।

রাত ২.৪৩ মিনিট বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোর কাছে একজন লোক সাহায্য চাইতে এসে বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোকে ঝাঁপটে ধরে টেনে হেঁচড়ে রিভলবার ঠেকিয়ে বলে কোনো চেঁচামেচি না করতে। তারা সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজে জাপান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত স্বর্ণ-নির্মিত বুদ্ধ প্রতিমূর্তি। শ্রীলংকার ভক্ত কর্তৃকপ্রদত্ত গোল্ডেন ফ্রেমের একটি চশমা, টাকা-পয়সাসহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়।

অসম সাহসী মো. ইসহাক, ডা.পি.সি.বড়ুয়াও জ্ঞানদাররঞ্জন বড়ুয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছলেন বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো। চট্টগ্রাম শহরের অবস্থা ও ভালো ঠেকছে না। পুরো নগর যেন মৃতু্যপুরি। চারিদিকে খাঁ খাঁ শূন্যতা। তরুণ-যুবাদের জাগাতে মুক্তি বাহিনী গড়ে তুলতে, তিনি মো. ইসহাক ও ডা. পি.সি.বড়ুয়ার সাথে পরামর্শ করে ৪৬ নং বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, নন্দনকানন বৌদ্ধ কৃষ্টিপ্রচার সংঘের অফিস স্থাপন করলেন।

জিনানন্দ দেশের ক্রান্তিকালে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। দেশের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ?তিনি চট্টগ্রাম শহর, বোয়ালখালী, পটিয়া, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাকিস্তান বৌদ্ধ কৃষ্টিপ্রচার সংঘ লেখা পরিচয়পত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিতকরণ, প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রেরণ ও অসহায় আশ্রয়প্রার্থী মানুষদের আশ্রয়দান ও নিরাপদ গন্তব্যে প্রেরণের কাজে ব্যতিব্যস্ত।

গ্রামের সবাই যার যা কিছু আছে সবাই এগিয়ে আসে। জোস্না রানীর কথা শুনে জিনানন্দের চোখ ভিজে উঠল। এই দুবির্নীত দঃসময়েও একজন সর্বস্ব হারানো বৃদ্ধা সবার কল্যাণে নিজের শেষ সম্বলটুকুও সঁপে দিতে অকুণ্ঠ। এইত মানবতা। জিনানন্দ হারাধনকে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন এই টাকা খরচ করে সবাইকে নিয়ে ভারত সীমান্তে পৌঁছাতে হবে তোমাকে। জিনানন্দের কথা শুনে হারাধনের মধ্যে এক ধরনের অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আসলেই পরকল্যাণে আত্মনিবেদিত।

তিনজন সেনা নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে। তাদের ঠিক বিপরীত প্রান্তে ব্রিজের নিচে তিনজন লোক একজন মানুষের মাথায় রাইফেল ঠেকিয়ে কী যেন বলছে। রতন একটু আড়াল হয়ে তার চোখের সম্পূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে দেখল দীর্ঘদেহী শীর্ণকায় এক লোককে তারা হত্যা করতে উদ্যত। সে আরও মনোযোগ দিয়ে দেখে রতন হতাশ হয়ে গেল। এই তো জিনানন্দ। তার পরিধেয় কাপড় গায়ে নেই বলে প্রথমে চিনতে কষ্ট হয়েছে রতনের। এখন সে চিনতে পেরেছে। রতনের চোখ দিয়ে জল পড়ছে। পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকারদের হাত থেকে জিনানন্দকে বাঁচানোর জন্য কী আপ্রাণ চেষ্টাই না তারা করেছে। সবই তো বৃথা হলো। সেনাটি তার কোমরের থেকে পিস্তল বের করে জিনানন্দের দিকে তাক করে নির্দেশ দিল,'ইঁসে মঁ্যারে হাঁওয়ালে কঁরো।'

রাজাকার তিনজন মুখ-হাত-পা বাঁধা জিনানন্দকে ঘুরিয়ে পাকিস্তানি সেনার মুখোমুখি করে বসিয়ে দিল। পাকিস্তানি সেনাটি উন্মাদের মতো হেসে উঠে বলল, 'গুডবাই রাউলি। এনজয় ফ্রিডম ইন হেভেন।'

পরপর ছয়টি গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন জিনানন্দ। ষোলো ডিসেম্বর উনিশশত একাত্তর পাঁচরিয়া চানখালি খালের ভেসে থাকা জিনানন্দের মৃতদেহ ছুঁয়ে জেগে উঠছে স্বাধীন বাংলাদেশের চির-অমলিন রক্তিম সূর্য। দুরন্ত দুর্নিবার অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। একজন পাঠক হিসেবে আমার নিজের কাছে অনেক প্রশ্ন এই বীরের স্বীকৃতি কী পেয়েছেন?

যুদ্ধ ময়দানে নেতৃত্বদানকারী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আত্মোৎসর্গের সত্য ঘটনার আলোকে রচিত হয়েছে এই 'গৈরিক বীর' এই মহান ত্যাগী বীরকে জানায়, লাল সালাম। আমার কাছে মনে হয়েছে লেখক একটি গন্ডি থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। তিনি রাজাকারের বিচার এবং এই হার মানা কৃতী সন্তানের শ্রেষ্ঠত্বও বীরত্বের কাহিনি পাঠ্য বইতে লিপিবদ্ধ হতে পারে এমন কথা উলেস্নখ করেননি। মুক্তিযুদ্ধের আর ১০টা উপন্যাসের মতো তিনি কী নিজের জন্য লিখেছেন? এই রকম উপন্যাস যাতে পাঠকের কাছে এবং সমাজের কাছে পৌঁছে যায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে।

তবে তার শব্দের ভাষা এবং ব্যবহার পরিমিত চমৎকার। বইটি পাঠকের হাতে যায়, পাঠক অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি। বইটির সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হয়ে পাঠকের হৃদয়ে সারাজীবন বেঁচে  থাকুক এই কামনা করছি।

উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে অক্ষরবৃত্ত  প্রকাশন থেকে।

প্রচ্ছদ: মোস্তাফিজ কারিগর।

মূল্য- ৩২০ টাকা মাত্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে