শিক্ষাবিদ, কবি, গীতিকার, গবেষক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সাহিত্য ও গান নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি সবার অগোচরে পেরিয়ে গেল তার ১২তম মৃতু্যবার্ষিকী। তার মৃতু্যর পর একটি পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখে তার প্রতি জানিয়েছিলাম শ্রদ্ধা। তাও দেখতে দেখতে ১২ বছর হয়ে গেল। আমাদের সময়ে তাকে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়েছিলাম। এ প্রতিভাবান লেখক শিক্ষাবিদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৫ আগস্ট যশোর শহরের খড়কী পাড়ায়। পিতা মোহাম্মদ শাহাদাত আলী, মাতা রাহেলা খাতুন। স্কুলজীবন যশোরেই কেটেছে। ১৯৫৩ সালে যশোর জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর চলে যান রাজশাহীতে। ১৯৫৫ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে ঢাকায় চলে আসেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্স (১৯৫৮) ও এমএ (১৯৫৯) উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু এখানেই। প্রথমে শিক্ষক-ফেলো (১৯৫৯), পরে লেকচারার (১৯৬২) হন। ১৯৭৫ সালে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন। ১৯৭৮-৮১ সালে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দৈনিক মিলস্নাত (১৯৫২) পত্রিকার সাহিত্য-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য-গবেষণা এবং কবিতা লেখা ছিল তার নেশা। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। তার প্রথম গবেষণাগ্রন্থ 'আধুনিক বাংলা কাহিনী কাব্যে মুসলিম জীবন ও চিত্র' প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। তিনি ১৯৬৯ সালে 'আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক' শীর্ষক অভিসন্দর্ভ লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বইটি ও গবেষণাপত্রটি সুধি মহলে উচ্চ প্রশংসিত হয়। তিনি ১৯৬৯-৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে তিনি বাংলা বিভাগ থেকে প্রকাশিত 'সাহিত্য পত্রিকা' সম্পাদনা করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণায় এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। বহু বিষয়ে ভালো ভালো লেখা এগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পনেরো বছর পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। প্রায় অর্ধশত গবেষক তার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি পরীক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা জীবনে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, বোস্টন, আইওয়া, শিকাগো ও বার্কেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে লন্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির কথা উলেস্নখ করতে হয়। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো মনোনীত হন। একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যও ছিলেন ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পরে জীবন সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-সমিতির সভাপতি ও ১৯৮৬-৮৭ বর্ষে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের (৩২৮/বাংলাদেশ) গভর্নর নির্বাচিত হন। এসব পদ অলঙ্কৃত করা প্রমাণ করে তার সাংগঠনিক দক্ষতাও ছিল অসাধারণ। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অনন্য অবদান অবশ্যই স্মরণযোগ্য।
৩. এত কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার মূল কাজ ছিল সৃজনশীল সাহিত্য রচনা। তিনি ছিলেন পঞ্চাশের দশকের অন্যতম প্রধান কবি। ষাটের দশকে সমকাল পত্রিকার মধ্যদিয়ে যে কবিগোষ্ঠীর আবির্ভাব, এ কবিগোষ্ঠীর অন্যতম ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কবিতার পাশাপাশি গান লেখা, গবেষণামূলক প্রবন্ধ লেখা, গবেষণা করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বই রচনা বলতে গেলে একইভাবে চলেছে। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে দুর্লভ দিন (১৯৬১), শঙ্কিত আলোকে (১৯৬৮), বিপন্ন বিষাদ (১৯৬৮), প্রতনু প্রত্যাশা ( ১৯৭৩), ভালবাসার হাতে (১৯৭৬), ভূমিহীন কৃষিজীবী ইচ্ছে তার (১৯৮৪), তৃতীয় তরঙ্গে (১৯৮৪), কোলাহলের পরে (১৯৯০), ধীর প্রবাহে (১৯৯২), ভাষাময় প্রজাপতি (১৯৯৭), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান কাব্য সংগ্রহ (১৯৯৮), ঝবষবপঃবফ চড়বসং (ঐড়হড়ষঁষঁ,১৯৭৯) ইত্যাদি।
প্রেম, নিসর্গপ্রীতি, মানবতাবাদ, দেশাত্মবোধ, নাগরিক জীবনের জটিলতা তার কবিতার বিষয়বস্তু। তার লেখা দেশাত্মবোধক গানগুলো বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে যেন। গানগুলো শুনলেই বোঝা যায় তিনি কত উঁচুমাপের কবি ও গীতিকবি। তবে তার দৃষ্টি ছিল আলাদা, তাই কবিতায়, গানে তাকে আলাদা করে চেনা যায়। তার স্বদেশচেতনামূলক কবিতা ও গান বাংলা ভাষার অমূল্য সম্পদ। গানের কথায় পরে আসছি।
এখানে দেশাত্মবোধ স্পষ্ট। যেটা বেশি পাই তার গানে।
এমন প্রত্যয়দীপ্ত কাব্য পঙ্ক্তি মোহাম্মদ মনিরুজ্জানের কবি-সত্তাকে স্বাতন্ত্র্য রূপ দিয়েছে, যাতে স্বাজাত্যবোধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার শিল্পী-মন। এটা লক্ষ্য করা যায় তার রচিত অসাধারণ সুন্দর গানেও।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান কবি ও গীতিকার হিসেবে বিখ্যাত হলেও সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রে- সম্পাদনা, অনুবাদ, গবেষণায়ও উলেস্নখযোগ্য অবদান রেখেছেন, সে কথা আগে একটুখানি বলেছি। এবার বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। তার গ্রন্থ-সংখ্যা অর্ধশতাধিক। গবেষণায় লিপ্ত থাকার ফলে তিনি বেশকিছু অসামান্য বই বাংলা গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারায় উপহার দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে : আধুনিক বাংলা কাহিনী কাব্যে মুসলিম জীবন ও চিত্র (১৯৬২), আধুনিক বাংলা সাহিত্য (১৯৬৫), আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক (১৯৭০), বাংলা কবিতার ছন্দ (১৯৭০), বাংলা সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা (১৯৭৮), সাময়িকপত্রে সাহিত্য চিন্তা: সওগাত (১৯৮১), ঢাকার লোককাহিনী (১৯৬৫), নজরুল সমীক্ষণ (১৯৭২), যশোরের লোককাহিনী (১৯৭৪) ইত্যাদি। বিষয়বৈচিত্র্যই বলে দেয় তার অসামান্য মেধা ও মননের কথা। এ সব বই বাংলা সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আকর গ্রন্থ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
অনুবাদ সাহিত্যেও তিনি দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। তার অনূদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : এমিলি ডিকিনসনের কবিতা (১৯৭৩) ও ইউজিন ও'নীলের জাম্বুবান (দি হেয়ারি এপ, ১৯৬৭), অশান্ত অশোক (১৯৭৬) ও সঙ্গী বিহঙ্গী (১৯৮৪)। তিনি শিশুতোষ বইও লিখেছেন, সংখ্যা বেশি নয়। এগুলো হলো কবি আলাওল (১৯৬০), ইচ্ছেমতি (১৯৭৬) ও অযুত কলি (১৯৯)। কবি আলাওল তার প্রথম দিকের রচনা। বেশকিছু গ্রন্থ তিনি সম্পাদনা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ইতিহাস (১৯৮১); মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী রচনাবলি (১ম ও ২য় খন্ড, ১৯৭৮), মুহম্মদ এনামুল হক স্মারকগ্রন্থ (১৯৮৫), সৈয়দ আলী আহসান সংবর্ধনা গ্রন্থ (১৯৮৫) ও আবদুল গনি হাজারী রচনাবলি (১৯৯৪), মধুসূদন কাব্য সমগ্র (১৯৯৫), মধুসূদন নাট্য সমগ্র (১৯৯৫) প্যারীচাঁদ রচনাসম্ভার- ১ম খন্ড (১৯৯৮)।
৪. এবারে গান প্রসঙ্গ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে কাজী নজরুল ইসলাম পর্যন্ত বাংলা আধুনিক গানের উত্তরাধিকার যারা বহন করছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তাদের মধ্যে অন্যতম। তার গানের কথা শুরুতেই বলেছি। কবি হিসেবে তিনি বিশিষ্ট একথা সত্ত্বেও বলতে হয় আধুনিক গান রচনায় তার ভূমিকা অনন্য। তিনি চলচ্চিত্রের জন্য এবং দেশাত্মবোধক গান রচনা করে বাঙালি শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় ও সম্মানিত হয়েছেন। বলা যায়, গান রচনার কারণেই তিনি বাঙালি সংস্কৃতিতে স্মরণীয় হবেন দীর্ঘকাল। আরও স্পষ্ট করে বলতে হয় তিনি আর কিছু না লিখে শুধু গানই যদি লিখতেন তবুও মানুষের হৃদয়ে থাকতেন অনন্তকাল। জানা যায়, ১৯৫৬ সাল থেকে তিনি গান লিখতে শুরু করেন। তখন ঢাকা রেডিওর জন্য নিয়মিত গান লিখতেন তিনি। চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম গান লেখেন 'ডাক বাবু' ছবিতে। মুস্তাফিজ পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আরও যে সব চলচ্চিত্রে গান লিখেছেন তার মধ্যে রয়েছে চাওয়া পাওয়া, এতটুকু আশা, ছন্দ হারিয়ে গেল, দ্বীপ নিভে নাই, নীল আকাশের নীচে, অধিকার, নতুন নামে ডাকো, পিচঢালা পথ, অনির্বাণ, বাদশা, অশ্রম্ন দিয়ে লেখা, পরশমণি, ধীরে বহে মেঘনা, সোহাগ, দাতা হাতেমতাই, কালো গোলাপ, ভাঙ্গাগড়া, উসিলা, রাজা সাহেব অন্যতম। তার জননন্দিত যে গানটির প্রথম কলি শুরুতে উলেস্নখ করেছি তার কয়েকটি পঙ্ক্তি হচ্ছে-
আমার দেশের মাটির গন্ধে/
\হভরে আছে সারা মন/
শ্যামল কোমল পরশ ছাড়ায়ে/
নেই কিছু প্রয়োজন।'
স্বদেশের সরস মাটির গন্ধ যেন তার ভাষায় বাণীমূর্তি লাভ করেছে। তার আরও কয়েকটি দেশাত্মবোধক গানও সমান জনপ্রিয়। সেগুলো হচ্ছে- প্রতিদিন তোমায় দেখি, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, স্বাধীনতা এক গোলাপ ফোটানো দিন ইত্যাদি। চলচ্চিত্রের জন্য লেখা গান তার অজস্র। এগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বেশি বিখ্যাত গানের মধ্যে আছে- হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, কিছু আগেই হলে ক্ষতি কী ছিল, দুঃখ সুখের দোলায় দোলে ভব নদীর পানি, হেসে-খেলে জীবনটা যদি চলে যায়, প্রেমের নাম বেদনা, ঐ দূর দূর দূরান্তে, অশ্রম্ন দিয়ে লেখা এ গান, কত যে ধীরে বহে মেঘনা, ও দুটি নয়নে স্বপনে চয়নে নিজেরে যে ভুলে যাই। গানের কথা থেকেই বোঝা যায় এখানে আধ্যাত্ম চেতনার গান যেমন আছে, তেমনি আছে বিয়ের গান, চটুল গান, প্রেমের গান, বিরহের গান ও দুঃখের গান। মানুষ আনন্দে যেমন গান গায়, দুঃখেও গায়, প্রভুকে পাওয়ার জন্য যেমন গায় আবার জীবনের অনেক জটিল হিসেব মেলাতে না পেরে হালকা মেজাজের গানও গায়। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের গানে এ সব দিকের সবই ফুটে উঠেছে। ফলে রাতারাতি জনপ্রিয়ও হয়েছে। হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো গানটির রেকর্ড বিয়েবাড়িতে বাজানো হতো, যেন এটি গাওয়া না হলে বিয়েবাড়ির আয়োজন অপূর্ণ থেকে যাবে। মানুষ তার মনের কথা এ সব গানে খুঁজে পাওয়ায় এগুলো পুরনো হয়নি, আজও সমান জনপ্রিয়। এটি তার শক্তিমত্তারই কথা জানান দেয়। তার একাধিক গানের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনির্বাণ (১৯৬৭) ও নির্বাচিত গান (১৯৮৪)।
৫. ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে অনেক পদক ও পুরস্কার লাভ করেন। যার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য- ১৯৬৯ সালে লন্ডনের 'ইন্টারন্যাশনাল হু'জ হু ইন পোয়েট্রি'র 'সার্টিফিকেট অব মেরিট ফর ডিস্টিং গুইশড কন্ট্রিবিউশন টু পোয়েট্রি', ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৮৭ সালে একুশে পদক। এ ছাড়া রয়েছে ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে 'জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার', ১৯৮০ সালে মস্কো টেলিভিশনের 'রাদুগা পুরস্কার' ও ১৯৮২ সালে এশিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের রেডিও প্রোগ্রাম কম্পিটিশনে প্রথম পুরস্কার। আরও অনেক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে তা অনুলিস্নখিত। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ৭২ বছর বয়সে ঢাকায় মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের মৃতু্য হয়। এটা জাগতিক প্রস্থান মাত্র, একজন কবি, লেখক আসলে তার লেখার মাধ্যমে বেঁচে থাকেন অনন্তকাল। ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানও তার কীর্তির মধ্যদিয়ে বেঁচে থাকবেন।