সুপ্রিম কোর্ট ও কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ পস্নাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টসহ এর আওতাধীন আদালত এবং আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ পস্নাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদানে সুপ্রিম কোর্টের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে।
এ অবস্থায়, সুপ্রিম কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ পস্নাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যেসব বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের প্রস্তাব করছে সেগুলো হচ্ছে:
(ক) পস্নাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করা।
(খ) পস্নাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করা।
(গ) পস্নাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গস্নাস ব্যবহার করা।
(ঘ) পস্নাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহার করা।
(ঙ) দাওয়াত পত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে পস্নাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা।
(চ) বিভিন্ন সভা/সেমিনারে সরবরাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয় বা পরিবেশবান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করা।
(ছ) একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিকের পেস্নট, গস্নাস, কাপ, কাটলারিসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করা।
(জ) পস্নাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করা।
(ঝ) বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সব ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও পস্নাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা।
(ঞ) ফুলের তোড়ায় পস্নাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অলোচিত এবং উদ্বেগের বিষয়। বায়ুদূষণ, পস্নাস্টিক দূষণ, পানিদূষণসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণ আমাদের দেশের তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে পরিবেশ দূষণ রোধ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এই পরিপ্রেক্ষিতে পস্নাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।