সালাম পছন্দ না হওয়ায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে নির্মম নির্যাতন করেন এক শিক্ষক। দেশের একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ আদালতের নজরে আসায় ঘটনা সরজমিনে তদন্তের জন্য থানা পুলিশকে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। ৮ অক্টোবর বিচারক জাকির হোসাইনের ওই আদেশে প্রকাশিত সংবাদটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১)(সি) ধারায় আমলে নিয়ে পল্টন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, একটি টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত 'সালাম পছন্দ না হওয়ায় দরজা বন্ধ করে নির্মমভাবে পেটালেন ছাত্রকে' একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রচারিত হয়। ওই সংবাদ অত্র আমলি আদালতে দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।
সংবাদটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, পল্টন থানাধীন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জামাল হোসাইন কর্তৃক ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রকে কক্ষের দরজা বন্ধ করে সালাম দেওয়া পছন্দ না হওয়ায় নির্মমভাবে নির্যাতন ও মারধর করেন। প্রতিবেদন মোতাবেক অন্যান্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি করেন ওই শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কারণে এবং তার কোচিংয়ে ভর্তি না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় মারধর ও হয়রানি করেন। সংবাদে প্রকাশিত ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। ওই ঘটনাটি শিশু আইন-২০১৩ এর ৭০ ধারা এবং দ্য পেনাল কোড ১৮৬০-এর ৩৪২ ধারাসহ অন্যান্য ধারার অপরাধকে আকৃষ্ট করে।
এ অবস্থায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং জনস্বার্থে প্রকাশিত সংবাদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১)(সি) ধারায় আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), পল্টন মডেল থানাকে নিজে সরেজমিন তদন্তপূর্বক, সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহসহ ভিকটিম এবং প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হলো। আগামী ২২ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হলো। আদেশের কপি সংশ্লিষ্টদের প্রেরণ করতে বলা হয়।