২০২৩ সালে ইরানে ৮৫৩টি মৃতু্যদন্ড কার্যকর

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ২০২৩ সালে ইরানে ৮৫৩টি মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে- যা বিশ্বব্যাপী মৃতু্যদন্ডের প্রায় ৭৫ ভাগ। বিশ্ব মৃতু্যদন্ডবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নরওয়েভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ২৪ ঘণ্টার লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে এসব তথ্য দেয়া হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল ইরানে মৃতু্যদন্ড ও দন্ডিতদের প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং সাপ্তাহিক এই অনশন প্রতিবাদের খবর জানানো। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ইরানি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদির একটি চিঠি পড়ার মাধ্যমে। তিনি এখন রাজধানী তেহরানের একটি জেলে আছেন। গত ৩৭ সপ্তাহ ধরে তিনি ও অন্যরা সাপ্তাহিক এই অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। নার্গিস বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার কর্মীদের ইরানে মৃতু্যদন্ড বন্ধ করতে সহায়তা করার জন্য আবেদন করেছেন। হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইরানে মৃতু্যদন্ডের সংখ্যা ২৩ শতাংশ বেড়েছে। ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক অপ্রাতিষ্ঠানিক এই বার্তা সংস্থাটি এ সময়ে কমপক্ষে ৮১১ জনের মৃত্যদন্ডের খবর দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও ২০২৩ সালে ইরানে ৮৫৩টি মৃতু্যদন্ডের কথা বলছে- যা বিশ্বব্যাপী মৃতু্যদন্ডের প্রায় ৭৫ ভাগ। মে মাসে ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, 'আমাদের কাছে আরও ৪৭ জনের নাম আছে, গত ১২ মাসে যাদের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়।' এদের নাম দ্বিতীয় কোনো উৎস থেকে নিশ্চিত করা যায়নি বলে ছাপানো হয়নি বলে জানান তিনি। জাতিগত সংখ্যালঘু, যেমন কুর্দি ও বালুচি সম্প্রদায়ের লোকজন বেশি হারে মৃতু্যদন্ডের শিকার হচ্ছে। ইরানে বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের হলেও কুর্দি ও বালুচি সম্প্রদায়ের সিংহভাগ সুন্নি সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়ের লোকজন অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর এলাকাগুলোতে থাকেন এবং দীর্ঘসময় ধরে তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪৫টি মৃতু্যদন্ডের মধ্যে অনেকই এমন অপরাধের জন্য হয়েছে- যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মৃতু্যদন্ডযোগ্য নয়, যেমন মাদক সম্পর্কিত অপরাধ ও ডাকাতি।