ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। মাসিক কিস্তিও শোধ করছিলেন। কিন্তু বাদ সাধল ক্যানসার। চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে আর পরিশোধ করতে পারেননি ঋণ। এ বার আদালতের মধ্যস্থতায় সেই রোগীর ঋণ মওকুফ করল ব্যাংক। এমনটাই ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর জেলা আদালতে।
ওই ব্যক্তি পেশায় পুরোহিত। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেলদা শাখা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ক্যানসার ধরা পড়ে তার। তারপর থেকে চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়েই আর ঋণ শোধ করতে পারেননি। শেষমেশ ঋণ মওকুফের দাবি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় ন্যাশনাল লোক-আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার পক্ষেই গিয়েছে রায়। ৫ হাজার টাকায় মামলার নিষ্পত্তি করেছেন বিচারকরা।
ঋণ শোধ করতে না পারায় সম্প্রতি ব্যাংক থেকে নোটিশ পান ওই ব্যক্তি। সমঝোতার মাধ্যমে ঋণ মওকুফের দাবিতে আদালতে এসেছিলেন তিনি। চিকিৎসার প্রমাণ দেখানোর পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং বিচারকদের যৌথ সিদ্ধান্তে তার ঋণ মওকুফ হয়। যদিও ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, শনিবার ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির (ডিএলএসএ) তরফে ১৯টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। এই লোক আদালত মেদিনীপুর জেলা আদালত ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘাটাল, খড়গপুর মহকুমা আদালত, দাতন এবং গড়বেতা কোর্টে। জুরি মেম্বারদের মধ্যে আদালতের বিচারকরা ছাড়াও ছিলেন সমাজসেবী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন ডিএলএসএর চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাস। ডিএলএসএর সেক্রেটারি দিব্যেন্দু নাথ জানিয়েছেন, বিচারক ছাড়াও বহু সমাজসেবীদের জুরি মেম্বার করা হয়েছিল। লোক আদালতে বিভিন্ন ধরনের মামলা উপস্থাপন করা হয়। ৭০৯৭টি মামলার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মামলারই নিষ্পত্তি হয়েছে শনিবার।