বিচারপ্রার্থী ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সেবা প্রদানের উৎকর্ষতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনস্থ কনফারেন্স কক্ষে এক দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের দাপ্তরিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট রুলস, বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত প্যাকটিস ডাইরেকশন, সার্কুলার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিচারসেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সেবা প্রদানের উৎকর্ষতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ১২ দফা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন- যার মধ্যে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিতকরণ, দায়িত্ব পালনকালে কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন বর্জন, সেবা প্রদানে অহেতুক বিলম্ব পরিহার, সেবাগ্রহীতার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন, প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন নিষ্পন্নকরণ, কর্মকর্তারা কর্তৃক প্রতিদিন শাখা পরিদর্শন, ব্যতিক্রমহীনভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রণিধানযোগ্য।
বিশেষ করে প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে তাদের শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারকে নিয়মিত অবহিত করবেন এবং অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এবং রেজিস্ট্রার (বিচার) -কে রিপোর্ট প্রদান করবেন মর্মে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ প্রদান করেন।
উলেস্নখ্য, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮টি শাখা এবং আপিল বিভাগে ১৯টি শাখা রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার জেনারেল, ৩ জন রেজিস্ট্রার, ৪ জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, একজন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট ২ হাজার ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত রয়েছেন।