ধর্ষণের মামলা খারিজ করে বাদী ও অভিযুক্ত উভয়কেই জরিমানা করলেন বম্বে হাইকোর্ট
প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আইন ও বিচার ডেস্ক
ধর্ষণের মামলা খারিজ করে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী উভয়ের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিলেন বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস গডকরী ও বিচারপতি নীলা গোখলের নির্দেশ, দু'সপ্তাহের মধ্যে ওই জরিমানার অঙ্ক সশস্ত্র বাহিনীর নিহতদের পরিবার কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে।
উলেস্নখ্য, ২০২০ সাল থেকে অভিযোগকারী মহিলা ও অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার সঙ্গীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
গ্রেপ্তারির প্রায় ৯০ দিন পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানান। মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, তিনি মহিলার বাড়িতে থাকা শুরু করেন। মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। মহিলার অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তার সন্তানদের মারধর করতেন। তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এমনকি বিনিয়োগ করার নামে তার থেকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকাও নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত পাননি। এমন অবস্থায় গত এপ্রিল মাসে ওই ব্যক্তি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান মহিলা এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। পরবর্তী সময়ে ওই ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মহিলাকে ফেরত দিতেও সম্মত হন অভিযুক্ত।
মামলায় অভিযুক্তের আইনজীবী স্বপ্নিল অম্বুরে, রবি সূর্যবংশী ও তন্িভ নন্দগাঁওকর সওয়াল করেন, সম্পর্ক থাকাকালীন যা হয়েছে, তাতে দু'পক্ষেরই সম্মতি ছিল। টাকা দেওয়ার পর যখন সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না মহিলা, তখনই তিনি মামলা দায়ের করেন। অপর পক্ষে অভিযোগকারী মহিলার আইনজীবী কর্ণী সিংহ ও সরলা শিন্ডেও হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেন। তারা জানান, বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের মক্কেলও চান মামলাটি প্রত্যাহার করতে। এই অবস্থায় মামলা খারিজ করে উভয়পক্ষকেই ২ লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দু'সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার অঙ্ক জমা না পড়লে মামলাটি আবার আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।