প্রায় দুই দশক আগে শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছিলেন। তা নিয়ে ১৭ বছর ধরে মামলা চলছিল আদালতে। ঘটনাটি শ্বশুরের দায়ের করা সেই মামলায় সম্প্রতি সাজা ঘোষণা করেছেন নিম্ন আদালত। ঘটনাটি ভারতের বিহারের ভাগলপুরে। জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন শ্বশুর।
আদালতের সাজা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, তা প্রথাগত ধারণা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কোনো কারাদন্ডের নির্দেশ নয়, অভিযুক্ত জামাইকে ২৫টি চারাগাছ রোপণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিচারক জানিয়েছেন, চারাগাছগুলো যে ঠিকঠাক রোপণ করা হয়েছে, সেই মর্মে স্থানীয় থানা থেকে একটি শংসাপত্র নিয়ে আদালতে জমা করতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৭ সালে। শ্যালিকা বুলো কুমারীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা রাজকুমার মন্ডল। শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে শ্বশুর নারায়ণ মন্ডলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। অভিযোগ, শ্বশুরকে হুমকিও দিয়ে বসেন জামাই। বলেছিলেন, যদি শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহে অনুমতি দেন একমাত্র তা হলেই বর্তমান স্ত্রী গুহো দেবীকে তিনি নিজের সঙ্গে থাকতে দেবেন। বিষয়টি এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পর, তড়িঘড়ি অন্য পাত্রের সঙ্গে বুলোর বিয়ে দিয়ে দেন তার বাবা। সদ্যবিবাহিতা শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমার।
এরপর শুরু হয় মামলা-মোকদ্দমার পর্ব। জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান শ্বশুর। প্রথমে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় থানা। রাজকুমার ও তার গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান নারায়ণ। তদন্ত শেষে চার্জশিটও জমা করে পুলিশ।