কক্সবাজার বিচার বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গঠিত
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আইন ও বিচার ডেস্ক
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালসমূহে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়ে কক্সবাজার বিচার বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়েছে।
৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে সমিতি গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মচারীদের এক মতবিনিময় সভায় সমিতির এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলমকে আহ্বায়ক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল নং-০২ এর বেঞ্চ সহকারী মো. শামীমকে যুগ্ম আহ্বায়ক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালতের বেঞ্চ সহকারী (সেরেস্তাদার) দেলোয়ার হোসাইনকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়।
এছাড়া, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুষার কান্তি ধরকে যুগ্ম আহ্বায়ক, কুতুবদিয়া সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইদুল ইসলামকে কোষাধ্যক্ষ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তা সহকারী আরিফুল ইসলামকে প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়াও, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের সেরেস্তাদার মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার রফিকুল আলম, উখিয়া সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার মো. মহিউদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল নং-০১ এর বেঞ্চ সহকারী তৈয়বুল আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল নং-০৩ এর বেঞ্চ সহকারী উজ্জ্বল হোসেন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা সহকারী মাহমুদুল হাসান নোমানকে সমিতির নির্বাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভার শুরুতে কক্সবাজার বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণ, তাদের বিভিন্ন সংকট নিরসন, ন্যায্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমিতি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের একটি ঐকবদ্ধ পস্ন্যাটফর্ম খুবই প্রয়োজন। যে পস্ন্যাটফর্ম পেশাদারিত্বের মান বাড়াতে, কর্মচারীদের নিয়মিত অধিকারকে সুনিশ্চিত কাজ করবে। পাশাপাশি সবাই সুখে দুঃখে সহজে একে অপরের সারথি হতে পারবে।
এ সময় কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, সেরেস্তাদারের পক্ষে এম. নুরুল কবির, ফরিদ উদ্দিন, বেঞ্চ সহকারীদের পক্ষে সেতু বড়ুয়া, ফারুক উলস্নাহ, শাহেদুর রহমান, প্রণব কান্তি শর্মা, সমীর পাল বকুল, রাসেল পাল, তোতা মিয়া, মো. ছাদেক মিয়া প্রমুখ।
সভায় নবগঠিত সমিতির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ও গতিশীল করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়।