দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত আইনজীবী ও বিচারপতিদের স্মরণে ফুল কোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের গত ৩ জুন পর্যন্ত মৃতু্যবরণকারী ১০০ জন বিচারক ও আইনজীবীর শ্রদ্ধায় এ ফুল কোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী সইকৃত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যরা ইন্তেকাল করায় আগামী ৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১নং কোর্টে ফুল কোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত আইনজীবী ও বিচারকদের স্মরণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রেখে সেদিন তাদের কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত প্রত্যাশা করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এ অনুষ্ঠানকে 'ফুল কোর্ট রেভারেন্স' বলা হয়। রেওয়াজ মোতাবেক যুগ যুগ ধরে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে আদালতে।
দেশের সব আইনজীবী সমিতিতে এ রকমের রেওয়াজ থাকলেও এর আনুষ্ঠানিকতায় রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মৃতু্যজনিত শোকসভা প্রত্যেক মৃত আইনজীবীর জন্য পৃথকভাবে করা হয় না। বরং এ ধরনের মৃতু্যজনিত শোকসভা বছরে একবার নির্দিষ্ট দিনে অনুষ্ঠিত হয়।
যেদিন এ অনুষ্ঠান হয় সেদিন সে শোকসভায় প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা এবং আইনজীবীদের সমন্বয়ে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ রকম শোকসভার দিন সুপ্রিম কোর্ট মুলতবি থাকে।
সুপ্রিম কোর্টের শোকসভাজনিত রেওয়াজ বেশ কিছু জেলা আইনজীবী সমিতি অনুসরণ করলেও বেশিরভাগ জেলা আইনজীবী সমিতি এটাকে নিজেদের মতো করে পালন করে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে প্রতিজনের মৃতু্যতে প্রতিটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় না বরং এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আদলে বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়মের প্রচলন রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিতেও।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা আইনজীবী সমিতিতে প্রতিজনের মৃতু্যতে পৃথকভাবে শোকসভা অন্তে আদালত মুলতবি রাখা হয়। কোনো কোনো জেলা আইনজীবী সমিতিতে প্রতি মাসের শেষে সমন্বিত শোকসভাসহ একদিনের জন্য আদালত মুলতবি রাখা হয়।