২ মে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী (এ জে মোহাম্মদ আলী)। তিনি বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য ছিলেন। এছাড়াও মৃতু্যর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ছিলেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৭৮ সালে ঢাকা জেলা জজ আদালতে, ১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে ও ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
২০১৩-১৪ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ জে মোহাম্মদ আলীর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখেছেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। শোকাবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন। শোকাবার্তায় বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আইন জগতে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি অত্যন্ত গুণী, নির্লোভ এবং নির্মোহ একজন ব্যক্তি ছিলেন। আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য। আইন অঙ্গনে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এছাড়াও শত শত আইনজীবী তার মৃতু্যতে শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ জে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে সহকর্মীরা স্মরণ করেছেন তার সঙ্গে থাকা স্মৃতি।