প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচারক

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। উলেস্নখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিশিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিশিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের পনেরো- ষোলোশ' বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।' এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।