পোষ্য বিড়ালের মৃতু্যর পর জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হুগলির বাসিন্দা। সেই মামলা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় পশু কল্যাণ মন্ত্রকের বক্তব্য জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের কাছেও জবাব চাইলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। তার অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তার পোষ্য বিড়ালের মৃতু্য হয়েছে। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, রাজ্যে যত পশু চিকিৎসালয় রয়েছে, সেগুলো বৈধ কিনা, জানা দরকার। তিনি এ-ও অভিযোগ করেন, ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে পশু চিকিৎসালয় খোলা হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে চিকিৎসা ঠিকঠাক হয় না।
এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পশু চিকিৎসালয় নিয়ে কেন্দ্রীয় পশু কল্যাণ মন্ত্রকের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। কীভাবে তৈরি হয় এ সব পশু চিকিৎসালয়, কীভাবে মেলে লাইসেন্স, এ সবই কেন্দ্রের থেকে জানতে চেয়েছেন বেঞ্চ। পাশাপাশি, এই মামলায় রাজ্যেরও বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বেঞ্চ। রাজ্যকে জানাতে হবে এসব পশু চিকিৎসালয়ের নিয়ন্ত্রণবিধি। কীভাবে এই পশু চিকিৎসালয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, এগুলো নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনাচিন্তা, তা জানাতে হবে হাইকোর্টকে।