তনি র্পবরে ধারাবাহকিরে আজ ছাপা হলো দ্বতিীয় র্পব
মামলার র্দীঘসূত্রতা ও ব্যয় কমাতে সাক্ষী ব্যবস্থাপনায় প্রস্তাবতি পদক্ষপে
ফৌজদারি র্কাযবধিরি ১৭১(২) ধারানুসারে আদালতে সাক্ষী হাজরি করার দায়ত্বি পুলশিরে। বচিার ব্যবস্থায় সাক্ষীর সংকট মোকাবলিায় বভিন্নি র্কতৃপক্ষ নানা কঠোর আদশে, পরপিত্র ইত্যাদি জারি করছেনে। নানা ধরনরে সাধুবাদযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেনে। কন্তিু আদতে সমস্যার মূলে গয়িে পদক্ষপে না নওেয়ায় সগেুলো ফলপ্রসূ হয়ে ওঠনে।ি মামলার র্দীঘসূত্রতা রোধে সাক্ষী ব্যবস্থাপনায় নম্নিলখিতি পদক্ষপেগুলো গ্রহণ করা যতেে পারে
প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ
এবার আসি সাধারণ সাক্ষীদরে বষিয়।ে বাস্তবে দখো যায়, বসেরকারি সাধারণ সাক্ষীরা মামলার সমন, নোটশি পলেে তার ২/১টি তারখিরে মধ্যইে আদালতে আস।ে কন্তিুু আদালতে আসার পর তারা জাননে না কোথায় যতেে হব,ে কি বলতে হবে এবং আসামপিক্ষরে প্রশ্নরে উত্তর ও সাজশেনে কি বলতে হব।ে এপপিদিরে সন্তুষ্ট করতে না পারলে র্কোটে এসওে ফরিে যান। আরও ফরিে যান র্কোট রভোরন্সে হলে কংিবা বচিারক প্রশক্ষিণ বা ছুটতিে থাকল।ে তাছাড়া, সংশ্লষ্টি মামলায় সাক্ষীকে উত্থাপন হওয়ার র্পূব র্পযন্ত তাদরে অপক্ষো করার বা অবকাশ করার মতো অবকাঠামোগত সুযোগ সুবধিা না থাকায় সাক্ষী দনিভর বরিক্ত হয়ে চলে যায়। তাদরে আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার কোনো খরচাদি সরকারভিাবে প্রদান করা হয় না। এভাবে বসেরকারি সাক্ষীরা নজি খরচে আদালতে এসে নানাভাবে নগ্রিহরে শকিার হন। অথচ সাক্ষীদরে যুক্তসিংগত খরচ প্রদানরে বষিয়ে সুস্পষ্টভাবে আইন (সআিরপসিি ৫৪৪ ধারা) ও প্রজ্ঞাপন থাকা সত্ত্বওে বচিার বভিাগ পৃথকীকরণরে পর থকেে এ খাতে কোনো বাজটে দওেয়া হয় না। আর পক্ষগণরে আবদেনক্রমে কোনো সাক্ষীকে হাজরি করা হলে তার যুক্তসিঙ্গত খরচ আদালতে জমা দওেয়ার বধিান থাকলওে {সআিরপসিি ২৪৪(৩) ধারা} বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় কালভেদ্র।ে ফলে বসেরকারি সাক্ষীরা আদালতে আসতে অনাগ্রহী হন। এছাড়াও, অনকে সময় সাক্ষীকে শুধু সাক্ষী হওয়ার কারণে বড়িম্বনার শকিার হতে হয়। থানায় ডকেে জজ্ঞিাসাবাদ করা হয়, কোনো কোনো ক্ষত্রেে স্বাক্ষরও নওেয়া হয়- যা ঘটনাস্থলে করার কথা ছলি। তাদরে সঙ্গে অনকে সময় শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা হয় না, বরং আসামরি মতো আচরণ করা হয়। তাই অনকেে সাক্ষী হওয়াকে ঝামলো ও হয়রানমিূলক মনে করনে। এজন্য কাউকে সাক্ষী করার র্পূবে তার মতামত নওেয়া প্রয়োজন। আরকেটি বড় সমস্যা হচ্ছ,ে মামলা দায়রে হলে তা প্রত্যাহার করা অথবা চালু হলে সাক্ষীদরে সাক্ষ্য প্রদান হতে বরিত রাখার লক্ষ্যে অপরাধী বভিন্নি রকম হুমক,ি ভয়ভীতি প্রর্দশন বা চাপ প্রয়োগ করে থাক।ে গুরুতর অপরাধে কখনো কখনো সাক্ষীদরে প্রাণনাশরেও নজরি রয়ছে।ে ফলে সাক্ষীরা সংকুচবহিীন চত্তিে নরিাপদে সাক্ষ্য দতিে পারনে না। এরূপ প্রক্ষোপটে সাক্ষীদরে নরিাপত্তা অপরর্হিায হয়ে দাঁড়ায়। বভিন্নি দশেে এ সংক্রান্তে আইন বা নীতি থাকলওে আজও আমাদরে দশেে ভকিটমি ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হয়ন।ি সাক্ষী ব্যবস্থাপনায় আরকেটি ত্রম্নটি হচ্ছ,ে সমন বা ওয়ারন্টে সঠকিভাবে জারি না হওয়া এবং জারি রর্পিোট যথাসময়ে না আসা। কোন সাক্ষী কনে এলো না তা র্সবাগ্রে জানতে হবে এবং সইে মোতাবকে ব্যবস্থা নতিে হব।ে ফৌজদারি র্কাযবধিরি ১৭১(২) ধারানুসারে আদালতে সাক্ষী হাজরি করার দায়ত্বি পুলশিরে। বচিার ব্যবস্থায় সাক্ষীর সংকট মোকাবলিায় বভিন্নি র্কতৃপক্ষ নানা কঠোর আদশে, পরপিত্র ইত্যাদি জারি করছেনে। নানা ধরনরে সাধুবাদযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেনে। কন্তিু আদতে সমস্যার মূলে গয়িে পদক্ষপে না নওেয়ায় সগেুলো ফলপ্রসূ হয়ে ওঠনে।ি মামলার র্দীঘসূত্রতিা রোধে সাক্ষী ব্যবস্থাপনায় নম্নিলখিতি পদক্ষপেগুলো গ্রহণ করা যতেে পার।ে ক) সাক্ষী ব্যবস্থাপনার নীতমিালা প্রণয়ন করতে হবে যখোনে সাক্ষীর শ্রণেভিদেে বশিষে সুবধিা ব্যবস্থাপনা এবং কীভাবে আদালত, পুলশি ও প্রসকিউিটরদরে মধ্যে পারস্পরকি সহযোগতিা, সমন্বয় ও যোগাযোগ স্থাপনরে মাধ্যমে একটি র্কাযকর ও প্রতশ্রিম্নতশিীল সাক্ষ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সজেন্য অনুসরণীয় বশিষে র্নদিশেনা উলস্নেখ থাকব।ে খ) সরকারি সাক্ষীদরে নামরে তালকিা অনুসারে মামলা পৃথক করতে হবে এবং এক সাক্ষীকে একাধকি মামলায় একই দনি, আগরে দনি বা পররে দনি রাখতে হব।ে এটি নঃিসন্দহেে সাক্ষী ব্যবস্থাপনায় সরকারি ব্যয় সংকোচনরে পাশাপাশি মামলার র্দীঘসূত্রতিা কমাব।ে গ) সাধারণ সাক্ষীদরে আদালতে আসা-যাওয়ার পথ খরচ, খাবার ও প্রয়োজনে রাতে থাকার যুক্তসিঙ্গত খরচ বাবদ পুনরায় বাজটে দতিে হব।ে উন্নত বশ্বিরে বভিন্নি দশেরে মতো প্রয়োজনে শশিু, অশীতপির ও প্রতবিন্ধী সাক্ষীর অভভিাবক বা এটনেডন্টেকওে এই খোরাকি ভাতার আওতাভুক্ত করতে হব।ে ঘ) সাক্ষী ব্যবস্থাপনার অ্যাপস বা সফটওয়্যার তরৈি করতে হব।ে সমন বা ওয়ারন্টেরে র্হাডকপরি পাশাপাশি মোবাইলে কল বা এসএমএস, হোয়াটস অ্যাপ, ই- মইেল বা সাক্ষী ব্যবস্থাপনার অ্যাপসরে মাধ্যমে মসেজে প্রদান নশ্চিতি করতে হব।ে ঙ) অভযিোগপত্রে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষীর নাম অর্ন্তভুূক্তকিরণ পরহিার করতে হব।ে অভযিোগপত্ররে কোন কোন সাক্ষীর প্রতি সমন বা ওয়ারন্টে দওেয়া হচ্ছে সে বষিয়ে সংশ্লষ্টি বচিারককে বশিষে নজর দতিে হব।ে চ) অভযিোগপত্রে সরকারি সাক্ষীর র্সাভসি আইডি ও মোবাইল নম্বর প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হব।ে কোনো আমলি আদালতে ম্যাজস্ট্রিটে এরূপ তথ্য সংবলতি সাক্ষীর নাম না থাকলে ওই অভযিোগপত্র গ্রহণ করবনে না। ছ) কোনো সরকারি সাক্ষী যনে কোনোভাবইে ভুল মসেজে পয়েে সাক্ষ্য দতিে না আসে তা পুলশি সুপারকে নশ্চিতি করতে হব।ে জ) কোনো বচিারক প্রশক্ষিণ বা ছুটতিে থাকলে সাক্ষীদরে বশিষে করে চকিৎিসক, পুলশিসহ সরকারি র্কমর্কতাদরে র্পূবইে জানয়িে দতিে হব।ে যদি জানানো না যায় এবং র্ধাযকৃত তারখিে ওই আদালতে সাক্ষী চলে আসে তবে উপস্থতি সাক্ষীদরে সমর্মযাদা সম্পন্ন অন্য কোনো আদালতরে মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণরে ব্যবস্থা করতে হব।ে কোনো সরকারি সাক্ষী আদালতে এসে যনে ফরিে না যায় সে বষিয়ে বশিষে নজর দতিে হব।ে পাশাপাশি পুলশি র্কতৃক উপস্থাপতি সাক্ষীকে পাবলকি প্রসকিউিটর যাতে ফরেত দতিে না পারে সদেকিওে আদালতরে খয়োল রাখতে হব।ে ঝ) যদি অপরর্হিায কারণে উপস্থতি সাক্ষীদরে পরীক্ষা করা সম্ভব না হয় তাহলে অপ্রয়োজনীয় সময় বলিম্ব না করে কসেরে তারখি মুলতুবি ঘোষণা করতে হবে এবং পরর্বতী তারখিে সবার আগে সইে সাক্ষীদরে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হব।ে লখেক : বচিারক (যুগ্ম জলো ও দায়রা জজ), বাংলাদশে জুডশিয়িাল র্সাভসি।