ভোটাধিকারের দাবিতে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ১৩ জন আইনজীবী। ফেনীর যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিবকে মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১২ জুলাই ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় এজেন্ডা বহির্ভূতভাবে এক বিবিধ আলোচনায়, যে সব আইনজীবীর মাদার বার বা মূল বার ফেনী আইনজীবী সমিতি নয় তারা আগামী নির্বাচনে ভোটার হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ মাদার বার ফেনী না হলে ফেনীতে কোর্টে নিয়মিত আইন চর্চা করলেও তারা সমিতির ভোটার হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মামলায় আনায়নকারী আইনজীবীদের মতামত প্রকাশের সুযোগ না দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী আইনজীবীরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী।
মামলার আরজিতে তারা উলেস্নখ করেন, 'সর্বশেষ সংশোধিত-২০১৮ সালের ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৭-এর উপ-অনুচ্ছেদ (গ)তে উলেস্নখ আছে, যেসব বিজ্ঞ সদস্য অত্র সমিতির মাধ্যমে সনদ নবায়ন করেন, বার কাউন্সিলের যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং অত্র সমিতির যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং জেলার দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালতসমূহে আইন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছেন যাহারা তাহারা ভোটার হিসেবে গণ্য হইবেন। মাদার বার ফেনী হইলেও যাহারা অন্য বারে যোগদান করিয়া আইন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছেন তাহারা ভোটার হইবেন না।'
'যেসব সদস্য অন্য কোনো আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বার কাউন্সিলের পাওনা পরিশোধ করেন অর্থাৎ তাহাদের মাদার বার অন্য সমিতিতে কিন্তু জেলা আইনজীবী সমিতি, ফেনীতে নিয়মিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন তাহারা জেলা আইনজীবী সমিতি ফেনীর ভোটার
হওয়ার যোগ্য হইবেন।'
'অত্র উপ-অনুচ্ছেদের ২য় অংশে বলা হয়েছে, মাদার বার ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতি না হইলেও যারা নিয়মিত এই সমিতিতে আইন চর্চা করে তারা ভোটার হইবে।'
অভিযোগকারী আইনজীবীরা ফেনী জেলা সমিতিতে নিয়মিত আইনচর্চা করার পরও তাদের ভোটার না করায় তারা অসন্তুষ্ট হয়ে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন-২০২৪ এর তফসিল প্রকাশ করেন। ইতোপূর্বে বাদীপক্ষ বিগত ২৭ নভেম্বর ভোটাধিকার বহাল রাখার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর আবেদন করেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন-২০২৪ এর খসড়া ভোটার তালিকা ও চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ওই ভোটার তালিকায় অভিযোগকারী আইনজীবীদের নাম না থাকায় তাদের স্বত্ব ও স্বার্থের পরিপন্থি উলেস্নখে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আদালত বিবাদীপক্ষকে তলব করেন।