মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজারে বিচার শুরু হওয়ার ৪ কার্যদিবসে মামলার রায়

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কক্সবাজারে বিচার শুরু হওয়ার ৪ কার্যদিবসে মামলার রায়

কক্সবাজারের একটি আদালতে মামলার চার্জ গঠনের দিনসহ মাত্র ৪ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ বিচারকাজ সম্পন্ন করে মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) কৌশিক আহম্মদ খন্দকার বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) অতি দ্রম্নততম সময়ে একটি মামলার রায় ঘোষণা করে এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

২০২২ সালের ১১ জুলাই দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবনগর পাড়ার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র নুরুল হুদা সওদাগর (৬৩) এর ওপর বসতবাড়ির সীমানা বিরোধ নিয়ে একই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে দোস মোহাম্মদ প্রকাশ দোস্ত মোহাম্মদসহ আর ২/৩ জন হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। হামলায় বয়োবৃদ্ধ নুরুল হুদা সওদাগর গুরুতর আহত হন। আহত নুরুল হুদা সওদাগরকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় আহত নুরুল হুদা সওদাগরের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে দোস মোহাম্মদ প্রকাশ দোস্ত মোহাম্মদসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় পেনাল কোডের ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানা মামলা নম্বর : ১৯, তারিখ : ১১/০৭/২০২২ ইংরেজি এবং জিআর মামলা নম্বর : ৩৪০/২০২২ (চকরিয়া) ইংরেজি।

বিচার ও রায়

তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আদালতে মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করলে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন ২০২৩ সালের ২৬ জুন চার্জশিটটি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) কৌশিক আহম্মদ খোন্দকারের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

একই আদালতে গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। চার্জ গঠনের পর মাত্র ৩ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলাটির ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, জখমীর মেডিকেল সার্টিফিকেট পর্যালোচনা, আলামত প্রদর্শন, আসামিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্কসহ সব বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বিচারক কৌশিক আহম্মদ খন্দকার আসামি দোস মোহাম্মদ প্রকাশ দোস্ত মোহাম্মদকে ফৌজদারি দন্ড বিধির পৃথক ৩টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মোট ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।

তার মধ্যে, আসামিকে পেনাল কোডের ৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, এক হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, ৩২৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, এক হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড, এক হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামিকে দেওয়া সব শাস্তি একইসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উলেস্নখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে