নবীন আইনজীবীদের জন্য আয়োজিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ওরিয়েন্টেশনে অংশ নিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবীন আইনজীবীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ১১ নভেম্বর নবীন আইনজীবীদের পেশাগত মান উন্নয়ন ও আদালতের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবহিত করতে ঢাকা আইনজীবী সমিতি এই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে। বিচারকরা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরও ভুল হতে পারে। তবে একই ভুল বারবার না করার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতকে সহায়তা করাই আইনজীবীদের কাজ। তিনি বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নবীন আইনজীবীদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের যাদের আমরা হাইকোর্টে এনরোলমেন্ট দিচ্ছি বা আপিলেড ডিভিশনে এনরোলমেন্ট দিচ্ছি বা সিনিয়র আইনজীবী করেছি। তাদের আমি সব সময় বলি আপনারা যারা সিনিয়র অ্যাডভোকেটের লাইসেন্স নিয়েছেন। সিনিয়র অ্যাডভোকেট হওয়া মানে বিচারপতিদের ভুল ধরা। সিনিয়র অ্যাডভোকেটদের সার্টিফিকেটে লিখতে হয় যে, এই জাজমেন্টটা এই কারণে ভুল। এটা বলার মতো কয়জন আইনজীবী আছে? যারা আমরা পাঁচজন-ছয়জন আপিল বিভাগের বিচারপতি রায় দিলাম সেই রায়টাতে একটা ভুল ধরা। যে এই ভুলটা হয়ে গেছে বা এই ফ্যাক্টটা সামনে আসেনি। সামনে এলে হয়ত রায় অন্যরকম কিছু হতো। এ রকম সার্টিফিকেট যিনি দিতে পারবেন। এ রকম যোগ্যতা যার হবে- তিনি সিনিয়র আইনজীবী হবেন। তিনি বলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাহেবরা যদি সেটা কোটেশনে বলতে না পারে। ন্যাচারালি যদি আমাকে বলতে হয়। আমি চিফ জাস্টিস হিসেবে বলেছি, দুই একদিন। সিনিয়র আইনজীবী বলুন আর আপিলেড ডিভিশনের আইনজীবী বলুন সেটা কিন্তু রিকল করার ক্ষমতা আছে। দেওয়ার যেমন ক্ষমতা আছে রিকল করারও ক্ষমতা আছে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়েরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবউলস্ন্যাহ হিরু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেষে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বাগানে বৃক্ষের চার রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি।