সযত্নে ভালোবাসা যায়
মাহমুদা টুম্পা
আপনি অনেক সহজ, সরল
আপনাকে নিয়ে কবিতা লেখা যায়
দিন শেষে শালিকের ঝাঁক নীড়ে ফিরে
যেমন করে শান্তি খুঁজে পায়
ঠিক তেমন করেই আপনাকে দেখে
অজানা ভালোবাসা সুখের পরশ পায়।
আপনার সৎগুণের বিচরণ বেলাভূমিতে
চিকচিক করে ওঠে সূর্যের সংস্পর্শে,
প্রীতিমুগ্ধতায় চোখ জুড়িয়ে যায়
অজান্তেই মননে জায়গা করে নেয়।
আপনাকে নিয়ে কাব্য রচনা করা যায়
ছবিও আঁকানো যায় রংতুলিতে
আগলে রাখা যায় বাহুডোরে
সযত্নে ভালোবাসা যায়।
জীবনের নামতা
হাফিজুর রহমান
নীলের বিকাল নীল নীলিমায়
ভাসছে স্বদেশ উজান নদ,
ভাসছে শরীর নটের জলে
নাটের স্রোতও খায় সনদ।
বক্র পায়ের বিকাল বাজার
কেনাবেচার ভবের হাট,
মাটির নিচে কিংবা ধোঁয়ায়
আসল হলো দড়ির খাট।
কেউবা নিঃস্ব কেউবা রিক্ত
কেউবা সিক্ত হাঁটুজল,
চলছে জীবন যেমন চলার
সবকিছু কি বলার ছল?
আসবে যাবে শ্বাসের রিদিম
জন্ম মৃতু্য জোয়ার বান,
ভাটার নোঙর পিঞ্জিরা তোর
সত্য পথই বাঁচায় প্রাণ।
অহং দর্প গা-জোয়ারি
ধ্বংস মাঠের সবুজ ঘাস,
যাওয়া আসার এই তরণী
শেষের দিনের শেষের মাস।
শিল্পের নিপুণ ছোঁয়া
জাহানারা কুলসুম
তুমি কি সাহারা মরুভূমির বুকে তপ্ত বালুচর
নাকি কাশ্মীরের রূপসী নারীর কোমল হৃদয়,
নায়াগ্রা জলরাশির ন্যায় শুভ্র ঢেউয়ের দোলা
নাকি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছিনিয়ে আনা বিজয়।
তুমি কি শিল্পাচার্যের দুর্ভিক্ষের পাঁজরের হাড়
নাকি দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার ঠোঁটের হাসি,
নজরুলের ঝাকড়া চুলের মতো পাখির বাসা
নাকি রবীন্দ্রনাথের সুর ভাবনা প্রেমের বাঁশি।
তুমি কি কপোতাক্ষ নদের উত্তাল মায়াবী জলরাশি
নাকি চোখের কোণে জমে থাকা দুফোঁটা জল,
বাবুই পাখির বাসার মতোন শিল্পের নিপুণ ছোঁয়া
নাকি ভালোবাসার আড়ালে লুকানো মায়াবী ছল।
তুমি কি যাত্রা মঞ্চের বিদ্রোহী সিরাজুদ্দৌলাহ
নাকি নাগর দোলা, রেশমি চুড়ি, ঘুড়ি উড়ানোর মেলা,
অনন্ত সুখের উন্মাদনায় খুঁজো বিবর্ণ শূন্য ধরা
নাকি তুমি হাজার বছর ধরে রংতুলির খেলা।