কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধুত্ব করি, দেশ গড়ি, এই স্স্নোগানে বহুল প্রচারিত দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা ফ্রেন্ডস ফোরামের আয়োজনে গত বুধবার উপজেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ সময় বাল্যবিয়ে ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের আহ্বায়ক কবি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- দৈনিক যায়যায়দিনের নাগেশ্বরী উপজেলা প্রতিনিধি ও ফ্রেন্ডস ফোরামের উপদেষ্টা ওমর ফারুক, ফ্রেন্ডস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সদস্যসচিব লতিফুর রহমান লিংকন, সদস্য মাইদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম নয়নসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অনেক পরিবার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাদের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়। আর্থিক অভাবের কারণে অনেকে বোঝা কমানোর এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নত করার উপায় হিসেবে দেখা হয় বাল্যবিয়েকে। গরিব মানুষ কন্যাসন্তানকে বেঝা হিসেবে দেখে থাকেন। এসব শ্রেণির মানুষ বাল্যবিয়েকে মেয়েদের সতীত্ব রক্ষার উপায় হিসেবে দেখা হয় এবং তাদের স্বাধীনতা ও চলাফেরা সীমিত করা হয়। শিক্ষার অভাব এবং বাল্যবিয়ের নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব নিয়ে আলোকপাত করা হয়। গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার তাদের মেয়েদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর বাল্যবিয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে অবগত নয়। বাল্যবিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের এবং তাদের পরিবারের জীবনে বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া মেয়েদের মৃতু্যঝুঁকি বেশি থাকে, সেইসঙ্গে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি থাকে। তারা তাদের স্বামীর কাছ থেকে শারীরিক ও যৌন সহিংসতার শিকারও হন। যেসব মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়, তাদের প্রায় সবাইকেই স্কুল ছেড়ে দিতে হয়, যা তাদের শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এটি দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের চক্রকে স্থায়ী করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। যেসব মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়, তাদের প্রায়ই সীমিত সামাজিক সমর্থন থাকে এবং তারা তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। কাজেই বাল্যবিয়ে যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুরা আরও বেশি বেশি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করবে বলে আলোচনা সভা মূলতবি করেন।
উপদেষ্টা
ফ্রেন্ডস ফোরাম নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।