সবুজে সাজাই আমার দেশ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারী কিশোরগঞ্জে গাছের চারা রোপণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম কিশোরগঞ্জ উপজেলা, নীলফামারী আহ্বায়ক, শিক্ষক আজহারুল ইসলাম আল আজাদ ও সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম রেজা, উপদেষ্টা কবি ও কলামিস্ট আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য সদস্য। মাসব্যাপী গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি ও বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচি পালনে গড়াগ্রাম উত্তরপাড়া জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করা হয়। গাছের চারা রোপণ শেষে সম্মানিত ফ্রেন্ডস ফোরামের আহ্বায়ক তার বক্তব্যে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ লাগাতে হবে পরিবেশ বাঁচাতে হবে।
তাই গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেনের প্রয়োজন তা আমরা গাছ থেকেই পেয়ে থাকি। পৃথিবীতে যত বেশি গাছ লাগানো হবে পৃথিবী তত সুন্দর হবে। মানুষের আবাসভূমি হবে বেঁচে থাকার মতো এক উদ্যান।
তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে পরিবেশ বাঁচাতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানুষ এখন গাছের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছুটা সচেতন হচ্ছে এবং আরো বেশি সচেতন করতে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম দেশব্যাপী গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেকটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত পঁচিশ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। আমাদের দেশে বনভূমি আছে মাত্র ৯ শতাংশের মতো। যেকোনো দেশের জন্য বনভূমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেন, একটি গাছ মাটি থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করে এবং সেই অতিরিক্ত পানি বাষ্প আকারে বাতাসে ছেড়ে দেয়। যার ফলে শুধু বনভূমিই নয়, শহরেও যেসব এলাকায় গাছ বেশি সেসব এলাকা তুলনামূলক শীতল থাকে। অন্যদিকে বাতাস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশকে সুস্থ রাখে।
আহ্বায়ক, ফ্রেন্ডস ফোরাম কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী।