তারুণ্যের কবি সুকান্ত
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ
ব্রিটিশ অত্যাচারিত ভারতবর্ষ
সুকান্তের তারুণ্য উন্মাদনায় নাচে হৃদয়,
চোখে মুখে নির্যাতিত নিপীড়িত
মানুষের প্রতিচ্ছবি,
যেন বিপর্যস্ত কবি।
হলো না লেখাপড়া, বুকে দাবানল
জ্বলে ধিক ধিক, যেন সবি ফিকে,
কলম হাতে লিখলেন কবি-
'অনেক যুগ, অনেক অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্র পেরিয়ে,
তারা এগিয়ে আসছে, ঝলসানো কঠোর মুখে।'
ওহ! আহা, কি বৃষ্টি
হলো এ কি অনাসৃষ্টি।
ঘরে নেই ছাতা
ফেন কচুর পাতা
ভিজে গেল মাথা।
একি বৃষ্টি! হায় বিড়ম্বনা
কলেজে কি যাওয়া মানা!
কাদা জলে চলতে গেলে
জল ছিটে চক্ষু কানা।
ধুত্তুরি ছাই কি করি তাই
কি করে যে কলেজে যাই
ঘরে বসে গরম খিচুড়ি
হাঁসের ভুনা মাংস খাই।
গায়ে কাপড় সাদা
পথে ঘাটে কাদা
পা পিছলে পড়ে
ভাঙে যদি মাজা?
অফিসে যেতে দেরি
হবে মিষ্টি মধুর ঝাড়ি
বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দ
কখন যাবে ছাড়ি?
রিনিঝিনি ছন্দ লাগে না তো মন্দ
দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক
আড্ডাবাজদের আড্ডা
\হনা হয় একটু জমুক।
বৃষ্টি কি শুধুই বিড়ম্বনা!
জমে যখন আড্ডাখানা
কাজ কর্ম সব ফেলে
মিষ্টি গানে বাঁধে দানা।
মনের সকল কষ্ট যাতনা
ধুয়ে মুছে যাক এ কামনা
সবার তরে এই প্রার্থনা
সৃষ্টিকর্তার নাই তুলনা।