বন্ধুত্বের বন্ধনে

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

সাখাওয়াত হোসেন
আসছে ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস। ২০১১ সাল থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বিকৃত হয়ে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করা, ঐক্যকে লালন করা'। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, মানুষে-মানুষে, তথা ব্যক্তি, দেশ, জাতি, গোষ্ঠী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন স্থাপন করা। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক মানুষকে আরেকজনের সঙ্গে মনের মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। সমমনা লোকেরাই সফলভাবে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে। এটা আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে উঠতে পারে। সাধারণত একই বয়সে, চিন্তাধারা এবং একই মেজাজের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের বেলায় একই কথা প্রযোজ্য। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতি বছর ৩০ জুলাই সারা বিশ্ব আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস পালন করে। কিন্তু অনেক আগে থেকেই আগস্টের প্রথম রোবার দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। পৃথিবীতে ভালোবাসার চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। আর ভালোবাসার বন্ধন ততটা মজবুত হবে, যতটা বন্ধুত্ব সেখানে গভীর। বন্ধুত্বের শক্তি সবচেয়ে বেশি। বন্ধুত্ব এমনই একটা সম্পর্ক, যে সম্পর্কে কোনো বাউন্ডারি থাকে না, স্বার্থ থাকে না। যে কথা কাউকে শেয়ার করা যায় না, সেটাও শেয়ার করা যায় একজন প্রকৃত বন্ধুকে। সকল অবস্থায়, সকল বিপদে পিঠে চাপড় দিয়ে যে বলতে পারে 'কিসের ভয়, আমি আছি না!' এটার নামই বন্ধু ও বন্ধুত্ব। বর্তমান বিশ্বে এত যুদ্ধ, বিগ্রহ, আক্রমণ, শত্রম্নভাবাপন্য হওয়ার মূল কারণ বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির অনুপস্থিতি। বন্ধুভাবাপন্ন মানসিকতায় বিকশিত হয়ে, শত্রম্নতা নয় বন্ধুত্বই কাম্য হওয়া উচিত সব পররাষ্ট্রনীতিতে। আর কোনো রক্ত চাই না, যুদ্ধ চাই না, হাহাকার চাই না, শিশুর কান্না, মাতার আর্তচিৎকার, বৃদ্ধ/বৃদ্ধার আর্তনাদ আর দেখতে চাই না। অভুক্ত মুখের চাতক চাহনি আর দেখতে চাই না। বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে হেসে উঠুক সব মুখ, এই হোক এবারের আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসের আসল চাওয়া। সবুজ বন্ধুত্ব সবার জন্য।