ব র্ষা র প ঙ্‌ ক্তি মা লা

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বেদনা বৃষ্টি ও বায়োস্কোপ নাহিদা আশরাফী বেলুন ভরা সুখ, ছেড়ে দিলেই উড়ে যাবে বেদনার বাতাসে আকাশ কিনবো বলে, পাই পাই করে বেদনাকে জমালাম চেয়ে দেখি আকাশ নেই, মেঘে মেঘে ভাসে আমারই নাম পাশবালিশে দুঃখ ভরে বলেছি তফাতে থাকো এ আকাশে ঘুণপোকা গান গায় বিলাপের স্বরে অথচ বৃষ্টি নির্বিকার শুয়ে আমাকেই জড়িয়ে ধরে আকাশ রে তোর কষ্টগুলো থাকে মেঘের পরে খুব জোড়ালো বেদনা তোর বৃষ্টি হয়ে ঝরে বিরহি এ মনের ব্যথা মনেই জমে থাকে আমার আকাশ আমাকে তাই পাথর বলে ডাকে। আমার প্রিয় বর্ষা জহিরুল হক বিদু্যৎ নানান বৈচিত্র্যের ডালি নিয়ে ষড়ঋতু আসে এই রূপসী বাংলায়। কখনো আসে তপ্তরোদের ক্লান্তদুপুরে কখনো আসে রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দে কখনো হিন্দোল তোলে শুভ্র কাশবনে কখনো স্বপ্ন মাখে সোনালি ধানের শিষে কখনো আসে শিশির ভেজা সর্ষে ফুলে কখনো নবপলস্নবে গায় যৌবনের গান। এই ঋতুর মতো জীবনটাও বৈচিত্র্যময়; গ্রীষ্মের খরতাপে যদি লেখা হয় মানুষের বেঁচে থাকার গল্প, তবে বর্ষা লিখে যায় সুখ-দুঃখের উপন্যাস। শরতের শুভ্রতা যদি লেখে ছন্দিত সুখকাব্য তবে হেমন্ত আঁকে স্বপ্নভরা উপাখ্যান। শীত ও বসন্ত অনেকের কাছেই মহাকাব্য তবু বর্ষার ঝুমবৃষ্টি আমার প্রিয় কবিতা। কদম আব্দুস সালাম ফুটলো গাছে কদম ফুল নামলো ধরায় বর্ষা ফুলকাননের ফুলকলিরা করছে দেখে ঈর্ষা। পুলকি, নীপ, সিন্ধুপুষ্প অনেক তোমার নাম ভারত, চীন ও মালয় দেশই তোমার আদি ধাম। রূপসী তরুর শাখায় শাখায় কদম ফুল ফোটে বাদুড় এবং কাঠবিড়ালি দেখলে তা যে ছোটে। পুষ্পাধারে সরু ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাস কদম নিয়ে আছে ছড়া গল্প, উপন্যাস।