মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে। সকালবেলাটা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বেশ একটা ভয়ে ভয়ে ছিলাম, দিনটা বৃষ্টিভেজা হয়ে না যায়, তাহলে তো আনন্দের ছেদ পড়ে যাবে। কিন্তু না বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিচ্ছন্ন হয়ে তীব্র রোদ ঝলমল করতে লাগল। সারাদেশে চলছে যায়যায়দিনের প্রতিবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় কমিটি অপেক্ষায় আছে কখন বিকাল হয়। এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সবাই টি-শার্ট পরিধান করে যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের লাভ রোডস্থ এইচআরসি মিডিয়া ভবন থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশাল এক শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি পত্রিকার সর্বস্তরের সংবাদকর্মী, কর্মকর্তা, বিজ্ঞাপন বিভাগ ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন এবং বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুনরায় অফিস কার্যালয়ে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। ফ্রেন্ডস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা শেষে যায়যায়দিন কার্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণে আম, লিচু ও মাল্টাগাছের চারা রোপণ করা হয়। এরপর যায়যায়দিনের মিডিয়া সেন্টার পিকাসো হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মালটিমিডিয়া টিমের উদ্যোগে ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শক-শ্রোতা বন্ধুদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পিকাসো হলরুম। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিদের আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুদের লাল, হলুদ, গোলাপ ও রজনিগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করেন বি. স. জ্যোতিষ সমাদ্দার বাবু। এরপর যায়যায়দিন কর্তৃপক্ষ আহ্বায়ক কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সারাদেশে ব্যানার ও কেন্দ্রীয়ভাবে টি-শার্ট দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান যায়যায়দিন কর্তৃপক্ষ ও ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুরা। এরপর কেক কেটে ১৯ বর্ষে পদার্পণের সূচনা করা হয়। এরপর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে মালটিমিডিয়া টিমের উদ্যোগে ফল উৎসবের ফল খেয়ে আবার পিকাসো হলে ফিরে আসেন সবাই। এ অনুষ্ঠানের চমক ছিল ফ্রেন্ডস ফোরামের ঞযবসব ঝড়হম 'এসো বন্ধুত্ব করি হাতটা ধরি, হাতে হাত রেখে মিলেমিশে আমাদের দেশটা গড়ি/, হৃদয় খাতায় লেখা থাকুক তোমার আমার নাম/, যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম/, আমরা ফ্রেন্ডস ফোরাম . . .' এর গীতিকার, সুরকার, শিল্পী অর্জুন বিশ্বাস। দ্বিতীয় পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জ্যোতিষ সমাদ্দার বাবু বিভাগীয় সম্পাদক, যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম; এরপর বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিনের মো. রইছ উদ্দিন আহমেদ প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা; বেলাল হোসেন সার্কুলেশন ম্যানেজার, একেএম সাখাওয়াত হোসেন চিফ রিপোর্টার; সালাম সালেহ উদ্দিন সাহিত্য সম্পাদক; ইকবাল হোসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা; কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জ্বল মুখার্জী। আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, শামিমা আরা বেগম দিশা, মনিরুজ্জামান পলাশ, উজ্জ্বল মুখার্জী, সদস্য কবিতা কস্তা, ফ্রেন্ডস ফোরাম কেরানীগঞ্জের সভাপতি মো. কাওছার আহমেদ। এরপর শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করেন ইত্যাদিখ্যাত ফ্রেন্ডস ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গীতিকার, সুরকার, সংগীতশিল্পী অর্জুন বিশ্বাস ও পেস্নব্যাক সংগীতশিল্পী আফসানা তুলি। যন্ত্রসংগীতের কিবোর্ডে এ এইচ জীবন, প্যাডে সুমন ও তবলায় শুভ্র। যায়যায়দিন পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের হেড অব মার্কেটিং মো. ইব্রাহীম খলিল স্বপন, কান্ট্রি ডেক্স ইনচার্জ মায়মিনা আক্তার লিনা, ডেপুটি সার্কুলেশন ম্যানেজার খন্দকার আব্দুর রশিদ লিটন, বিশেষ প্রতিনিধি দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ। যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির আরও যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ জাহিদ হোসেন বাবু, সদস্যসচিব আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সদস্যসচিব মাসুম পারভেজ, নুরুল ইসলাম, প্রিয়াংকা আক্তার নুপুর, সদস্য মোহাম্মদ বশির উলস্নাহ, মো. ইমরানুল হাসান, মো. জুয়েল হাসান, রাশিদা আক্তার মুন্নী, দীরাজ মাহমুদ, সৈয়দ মিজানুর রহমান, মো. আল আমিন মৃধা, তাপস আরেফিন, আবু সাঈদ, খালিদ হোসেন, মো. রিফাত হাজী, সাইফুল ইসলাম মজুমদার, শামীমা কবির, সাজ্জাদ নূর সুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মনিরুজ্জামান পলাশ। আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে এদিনের মতো অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।
বিভাগীয় সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব
ফ্রেন্ডস ফোরাম ও কেন্দ্রীয় কমিটি ফ্রেন্ডস ফোরাম।