কাশিয়ানীতে রত্নগর্ভা মায়েদের ফুলেল শুভেচ্ছা
প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
নিজামুল আলম মোরাদ ও মো. সিফাত খান
'মায়ের এক ধার দুধের দাম, কাটিয়া গা-এর চাম, পাপোষ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না মাগো।' এমনি এক অনুভূতির স্ফুরণে উচ্চারিত হলো মা দিবস। মা-মাটি-মানুষ, প্রতিটি শব্দের প্রথমে মা। মা যেখানে অনুপস্থিত মাটি ও মানুষ সেখানে নীরব। পৃথিবীতে মা একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তার সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। শুধু মানব সমাজে নয়, পশু-পাখির মধ্যেও আছে মায়ের মমতা ও ভালোবাসা। সন্তানের জন্য মায়ের জীবন উৎসর্গ করার ঘটনাও মিলেছে হাজারও বার। মাকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা করা, মায়ের সঠিক মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন, বৃদ্ধা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে বাধ্য না করা সব সন্তানের প্রতিজ্ঞা হোক এ বছরের মা দিবসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষাভাষীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাশিয়ানীর বন্ধুরা পালন করল মা দিবস।
এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা ফ্রেন্ডস ফোরাম গর্বিত দুই মাকে রত্নগর্ভা মা হিসেবে নির্বাচন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের সহসভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিউটন ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যপক মো. সুলতানুল আলম খানের নেতৃত্বে কাশিয়ানী প্রেস ক্লাবে জড়ো হয়। এরপর বন্ধুরা দুই মাকে সংবর্ধনা দিতে তাদের বাসভবনে যাত্রা করেন।
প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মুন্শী আজিজুর রহমানের (খেপু মুন্শী) স্ত্রী 'মা' হেলেনা বেগমের বাড়ি উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে উপস্থিত হয়ে তাকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময়ে মা হেলেনা বেগম উপস্থিত সব সন্তানকে মিষ্টি মুখ করান। তার প্রথম সন্তান মো. আনিসুর রহমান মিরন বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে কর্মরত, দ্বিতীয় সন্তান সোয়েবুর রহমান পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে ৯৯৯-এ কর্মরত, তৃতীয় সন্তান মো. আশিকুর রহামান নয়ন পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে (জনপ্রশাসনে) কর্মরত, চতুর্থ সন্তান মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রকৌশলী-ব্যবসায়ী এবং ৫ম সন্তান মো. মিনাজুর রহমান সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। মা হেলেনা বেগম আমাদের অনুপ্রেরণা।
এরপরই বন্ধুরা যাত্রা শুরু করেন ফুকরা ইউনিয়নের শাফলীডাঙ্গা গ্রামে মা ফিরোজা বেগমের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বন্ধুরা। এ সময় ফিরোজা বেগমের স্বামী পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক মো. বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিনন্দন ও সংবর্ধনা জানানো শেষে মা ফিরোজা বেগম সবার সাথেই গল্প করেন এবং সব সন্তানকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন। তিন সন্তানের জননী তিনি। প্রথম সন্তান ছেলে সেনাবাহিনীর কর্নেল ডা. মো. আলি উজ্জামান হিরণ। তিনি পতেঙ্গা সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে বিলকিস হোসনেয়ারা বিএবিএড। জামাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. ইয়াছিন মুন্শী, শরীয়তপুর জেলায় কর্মরত আছেন। তৃতীয় সন্তান ছোট ছেলে মো. সহিদুজ্জামান শাহীন, খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী রাবেয়া চৌধুরী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রকৌশল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাশিয়ানী প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. নিজামুল আলম মোরাদ, সহসভাপতি মো. মিকাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক নিউটন ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক মো. সুলতানুল আলম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান দুলাল, মো. জিয়াউর রহমান, সাংবাদিক মো. জুয়েল হাসান, সাংবাদিক মো. আশরাফুজ্জামান, সাংবাািদক মো. আল ইমরান, মো. আশরাফুজ্জামান মিন্টু, মো. আব্দুস সবুর মিয়া, মো. ফায়সাল প্রমুখ।
উপদেষ্টা ও সদস্য
ফ্রেন্ডস ফোরাম কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ।