বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমা নিয়ে আগমন ঘটে রমজান মাসের। আর এই রমজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ইফতার। কেউ ইফতার করেন পরিবারের সঙ্গে কেউ আবার পরিবার ছেড়ে দূরে অবস্থান করায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক সম্প্রীতির ইফতার আয়োজন ছিল গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার অনুভূতিটাই অন্যরকম। ইফতার মানে শুধু একসঙ্গে বসে খাওয়াই নয়, এর মাধ্যমে পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়রদের এই ইফতার কারও জন্য হয় প্রথম আবার কারও জন্য হয় শেষ। এ যেন স্মৃতির পাতায় এক সোনালী সময়।
নোবিপ্রবির সেন্ট্রাল ফিল্ড ইফতারকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয়ে উঠে। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও ইফতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে আসতে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। সারিবদ্ধ হয়ে ইফতার একরকম চাঞ্চল্যতা বিরাজ করে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে। সবার হাতে হাতে ইফতার সামগ্রী, কেউ ব্যস্ত, ইফতার আয়োজনে আবার কেউ পরিবেশনে। সিনিয়র-জুনিয়র, ব্যাচমেট, জেলাভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাবভিত্তিক ইফতার আয়োজনে পুরো পরিবেশটাই অনন্য হয়ে উঠে।
মানচিত্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে ইফতারের মাধ্যমে এক সম্প্রীতির ইফতার সবার হৃদয়ে স্মৃতিপটে থেকে যায়। সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে ঠেলে অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের আনয়ন ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এই ইফতার কর্মসূচি।
ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার আয়োজন নিয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফ্রেন্ডস ফোরাম নোবিপ্রবির আহ্বায়ক ফজলে এলাহী ফুয়াদ বলেন, প্রতিটি রমজান ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের জন্য আলস্নাহর রহমত নিয়ে আসে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধুর সম্পর্কের মেলবন্ধন ঘটে। তাই প্রতিবছরের রমজান একশ একের প্রতিটি মানুষ মেতে উঠুুক সম্প্রতির বন্ধনে। মো. হোসাইন বলেন, সবার মধ্যে আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠে এই রমজান মাসে।
সদস্য
ফ্রেন্ডস ফোরাম নোবিপ্রবি, নোয়াখালী