শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে পাঁচ খাবারে শিশুর মেধা বাড়ে

নতুনধারা
  ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

শিশুদের বয়সটা হচ্ছে শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশসাধনের সময়। এ সময় সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শিশুর খাবার তালিকায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হয়।

অনেক পিতামাতা শিশুদের নিয়মিত ফল ও শাকশবজি খাওয়াতে ত্রম্নটি করেন না। কিন্তু এর পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন যা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশসাধন করবে তথা মেধা ও মনোযোগ বাড়াবে।

এখানে শিশুর মেধা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পাঁচ খাবার দেয়া হলো- যা ১২ মাস ও তদোর্ধ্ব বয়সের বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন।

ডিম: শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশসাধন হয় উলেস্নখযোগ্য হারে। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একটি পুষ্টি হচ্ছে কোলাইন। মস্তিষ্কের গভীরে স্মৃতিকোষ তৈরি করতে কোলাইনের প্রয়োজন রয়েছে। ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত কোলাইন পাওয়া যায়। আট বছর পর্যন্ত প্রতিদিন যতটুকু কোলাইন লাগে তার প্রায় সমপরিমাণ পুষ্টি একটি ডিমের কুসুম সরবরাহ করতে পারে। ডিমে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন এ ও ফোলেটও রয়েছে- এদের প্রত্যেকটিই কোষের বৃদ্ধি, বিকাশসাধন ও মেরামতে দরকার। তাই শিশু ডিমের প্রতি অ্যালার্জিক না হলে তাদের প্রতিদিন ডিম খেতে উৎসাহিত করুন।

তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ অনেক উপকার করতে পারে। মস্তিষ্কের বিকাশসাধন ও স্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কোষের বিকাশসাধনের জন্য অন্যতম বিল্ডিং বস্নক হচ্ছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ পুষ্টি নিউরোট্রান্সমিটার ফাংশনে ভূমিকা রেখে আচরণগত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কিছু গবেষণায় নিম্নমাত্রার ওমেগা ৩-এর সঙ্গে কম মেধার যোগসূত্র দেখা গেছে এবং অন্যদিকে ওমেগা ৩ সাপিস্নমেন্টেশনে মেমোরি ফাংশন বৃদ্ধি পেয়েছিল।

হোল গ্রেন: শিশুদের সকালের নাস্তায় হোল গ্রেন (গোটা শস্য) রাখা উচিত। কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ এই খাবার মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে গস্নুকোজ ও এনার্জির জোগান দেয়। এতে প্রচুর বি ভিটামিনও থাকে- যা নার্ভাস সিস্টেমকে সুস্থ ও পুষ্ট রাখে। অনেক গবেষণায় পাওয়া গেছে, হোল গ্রেনের ব্রেকফাস্ট শর্ট-টার্ম মেমোরি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে। অন্যদিকে সকালের নাশতা হিসেবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণে এমন লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়নি। হোলগ্রেনে উচ্চ পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে- যা শরীরে গস্নুকোজ সাপস্নাই নিয়ন্ত্রণ করে।

শিম: শিমের বিচির মতো প্রকৃতির খাবারে (শিম) উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। পিন্টো ও কিডনি বিনসে ওমেগা-৩ ফ্যাট বেশি থাকে- যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও কার্যক্রমের জন্য দরকারি। শিশুদের শিম খাইয়ে স্কুলে পাঠালে ক্লাশরুমে মন বসবে। এ ছাড়া এসব খাবার তাদের দীর্ঘসময় সতেজ রাখবে। বিচি হচ্ছে প্রোটিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। এসকল পুষ্টি গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন রয়েছে। এসব খাবারে ফাইবারও রয়েছে, যা দুটি কমন প্রেগন্যান্সি ডিসকমফোর্ট- কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে পারে।

দুধ: দুধ, দই ও পনির এতটা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যে, শিশুর ডায়েটে চোখ বন্ধ করে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। দুধ জাতীয় খাবারের প্রোটিন, বি ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি মস্তিষ্কের টিসু্য, নিউরোট্রান্সমিটার ও এনজাইমের গ্রোথের জন্য প্রয়োজনীয়। এসবকিছু মস্তিষ্কের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে, এসব খাবার ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ বলে এগুলো খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত হবে তথা সুস্থ থাকবে। শিশুদের বয়স অনুসারে বিভিন্ন মাত্রার ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হতে পারে। আপনার শিশুকে দুই থেকে তিন ধরনের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করুন।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93968 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1