বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের মধ্যে পার্থক্য কী?

নতুনধারা
  ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বর্তমানে আলোচিত তিনটি শব্দ হলো আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টিন ও কোয়ারেন্টিন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই তিনটি শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে ঘন ঘন। অনেকে আবার এই তিনটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছেন। আক্রান্তের ক্ষেত্রে এই তিন অবস্থায় বিধিনিষেধ কি আলাদা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টিন ও কোয়ারেন্টিনের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য আছে নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও। জেনে নিন-

আইসোলেশন

কারো শরীরে করোনা ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইসোলেশনের সময় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকতে হবে রোগীকে। অন্য রোগীর কথা ভেবে হাসপাতালে আলাদা জায়গা তৈরি করা হয় তাদের জন্য। অন্তত ১৪ দিনের মেয়াদে আইসোলেশন চলে। অসুখের গতিপ্রকৃতি দেখে তা বাড়ানোও হয়। আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না। তাদের স্বজনদের সঙ্গেও এই সময় দেখা করতে দেয়া হয় না। একান্ত তা করতে দেয়া হলেও অনেক বিধিনিষেধ মানতে হয়।

এই অসুখের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এ সময় কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এমন কিছু ওষুধ ও পথ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। যাদের শরীরে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ও করোনার প্রকোপ অল্প, তারা এই পদ্ধতিতে সুস্থও হন। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও রোগের হানা বড়োসড়ো রকমের, তাদের পক্ষে সেরে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

কোয়ারেন্টিন

করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরেই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। অন্তত সপ্তাহখানেক সে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে জানে। তাই কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবেই কোয়ারেন্টিন কখনো হাসপাতালে আয়োজন করা হয় না। করোনা হতে পারে এমন ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টিন পয়েন্টে রাখা হয়।

কমপক্ষে ১৪ দিনের সময়সীমা এখানেও। এ সময় রোগের আশঙ্কা থাকে শুধু, তাই কোনো রকম ওষুধপত্র দেয়া হয় না। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু রোগের জীবাণু ভেতরে থাকতেও পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হয়। বাড়ির লোকেদেরও এই সময় রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।

হোম কোয়ারেন্টিন

কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনের সব নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন তাকে হোম কোয়ারেন্টিন বলে। সাধারণত সম্প্রতি আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

এ ক্ষেত্রেও নূ্যনতম ১৪ দিন ধরে আলাদা থাকার কথা। কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই এই ব্যবস্থা নিতে হয়।

এ ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধির বাইরে কোনো আলাদা ওষুধ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বেশি করে পানি পান, ভালো করে খাওয়াদাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর নানা পথ্য- এসব দিয়েই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93964 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1