দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করার কথা জানা থাকলেও কতক্ষণ ব্রাশ করা উচিত সেটা অনেকেই জানেন না। মুখগহ্বর ও দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকা চাই।

আর ব্রাশ করা ছাড়াও দাঁতের সুরক্ষায় আরও অনেক কিছু রয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দাঁতের যত্ন নেওয়ার বেশ কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হলো।

প্রয়োজনীয়তা: অল্প সময়ে ব্রাশ করা সেরে ফেললে দাঁত পুরোপুরি পরিষ্কার নাও হতে পারে। জরিপ বলে, বেশিরভাগ মানুষ ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডে দাঁত ব্রাশের পাট চুকিয়ে ফেলেন। ফলে 'পেরিওডনটাইটিস' ও 'জিনজিভাইটিস' নামক জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার মুখে পুরু 'পস্নাক'য়ের আস্তর থেকে ধমনীতেও 'পস্নাক' জমতে পারে। এ জন্যই বলা হয় মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক তথ্য দিতে পারে।

ব্রাশ করার সময়: দন্ত চিকিৎসকদের মতে, দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা আদর্শ। আবার কিছু চিকিৎসকের মতে, দুই মিনিট যথেষ্ট নয়, তিন মিনিট সময় ব্যয় করা উচিত। তবে তিন মিনিট ধরে ব্রাশ করা ছোটদের ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্যও বটে।

মাইগ্রেনের ব্যথা এবং প্রতিকার

গবেষকদের মতে, দুই মিনিটের তুলনায় যারা মাত্র ৪৫ সেকেন্ড ব্রাশ করেন তারা মুখগহ্বর থেকে মাত্র ২৬ শতাংশ 'পস্নাক' পরিষ্কার করতে পারেন।

কৌশল: কতক্ষণ দাঁত ব্রাশ করছেন তার থেকেও জরুরি বিষয় হলো কোন কৌশলে দাঁত ব্রাশ করছেন। হালকা চাপে, সবগুলো দাঁতের গোড়া ও মাড়ির প্রতিটি অংশে ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। দাঁত আর মাড়ির পাশাপাশি জিহ্বা ও গালের ভেতরের অংশেও ব্রাশ চালানো গুরুত্বপূর্ণ।

ফ্লস: ব্রাশ করার মতোই জরুরি ফ্লসের ব্যবহার। এতে 'পস্নাক' জমা হওয়া রোধ হয় এবং মুখগহ্বরের বিভিন্ন জটিলতা এড়ানো যায়।

টুথব্রাশ: ভালোমানের ব্রাশ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। কারণ এতে দাঁত আরও ভালোভাবে পরিষ্কার হবে, যা ভুল ধারণা। সবসময় নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। কারণ শক্ত ব্রাশের কারণে দাঁতের এনামেলের আস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সাধারণ ব্রাশের বদলে বৈদু্যতিক ব্রাশ ব্যবহার করার উলেস্নখযোগ্য কোনো বাড়তি উপকার নেই। তবে বৈদু্যতিক ব্রাশে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। ফলে ওই সময় পর ব্রাশটি সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

\হবেশিক্ষণ ব্রাশ করলে: দীর্ঘক্ষণ ব্রাশ করার কোনো ক্ষতি নেই। তবে, অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হয়। এতে দাঁতের এনামেলের আস্তর এবং মাড়ির টিসু্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলাফল হতে পারে দাঁতের সংবেদনশীলতা। তাই হালকা চাপে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।