ভোরে ঘুম থেকে না উঠলে কমে যায় আয়ু!

ঘুম থেকে দেরিতে ও ভোরে ওঠা উভয় শ্রেণির মানুষের মস্তিষ্ক এমআরআই করে দেখেছেন, শরীরের যে অংশ চেতনা তৈরি করে, রাত জাগা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সে অংশের সংযোগ কম থাকে। ফলে তাদের রাতজাগা মানুষের মনোযোগ কম থাকে। যে কোনো বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত হয়

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
রাত জেগে মোবাইল চালানো, ফেসবুকিং করা, গেম খেলা এবং কোনো নাটক বা মুভি দেখা; অনেক মানুষের প্রতিদিনের স্বভাব। বেলা ১১টা থেকে ১২টার সময় ঘুম থেকে ওঠা এখন তো ফ্যাশন। যারা তাড়াতাড়ি উঠেন বলে দাবী করছেন, তারাও ভোর ৬টা থেকে ৭টার আগে উঠতে পারেন না। প্রতিদিন এভাবে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে আমরা আমাদের দ্রম্নত মৃতু্যর দিকে ঠেলে দিচ্ছি। গবেষণা যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে রাতজাগা মানুষের দ্রম্নত মৃতু্যর হার ১০ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক ক্রোনবায়োলজি জার্নালে উলেস্নখ করা হয়, যারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠেন তাদের গড় আয়ু রাতজাগা ব্যক্তিদের চেয়ে সাড়ে ছয় বছর বেশি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেরি করে ঘুম ওঠার কারণে মানসিক ও শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দেয়। হতে পারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াসহ বিভিন্ন রোগ। বিজ্ঞানীরা ঘুম থেকে দেরিতে ও ভোরে ওঠা উভয় শ্রেণির মানুষের মস্তিষ্ক এমআরআই করে দেখেছেন, শরীরের যে অংশ চেতনা তৈরি করে, রাত জাগা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সে অংশের সংযোগ কম থাকে। ফলে তাদের রাতজাগা মানুষের মনযোগ কম থাকে। যে কোনো বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত হয়। পক্ষান্তরে যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠেন তাদের মনযোগ বেশি থাকে। রাতজাগা মানুষের চেয়ে তাদের কর্মক্ষমতাও বেশি থাকে। রাতজাগা মানুষদের অনেকে বলেন, মস্তিষ্কের গঠনের জন্য তারা রাত জেগে থাকেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী তাদের ধার?ণা ভুল। বরং ভোরে ঘুম থেকে উঠলেই মস্তিষ্কের গঠন ভালোভাবে হয়। মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীরের ছন্দই হচ্ছে রাতে ঘুমাবে এবং দিনে কাজ করবে। যারা রাত জাগেন এবং দেরি করে ঘুম থেকে উঠেন তারা শরীরের ছন্দের বিপরীতে চলে থাকেন। ফলে অল্প বয়সেই বড় বড় রোগে আক্রান্ত হয়ে যান। শরীর ধীরে ধীরে নিষ্‌িক্রয় হয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন পরপরই আমরা আত্মহত্যার সংবাদ শুনতে পাই। বিষণ্‌নতা থেকেই মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। রাত জাগলে মানুষের বিষণ্‌নতা বাড়ে। বিষণ্‌নতা কমাতে রাতে দ্রম্নত ঘুমিয়ে যাওয়া এবং ভোরে ঘুম ওঠা অত্যন্ত উপকারী। রাত জাগলে হজমশক্তি কমে যায়। ফলে পেটে দেখা দেয় নানান সমস্যা। দৌঁড়াতে হয় চিকিৎসকের কাছে। বেছে বেছে খেতে হয় খাবার। যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠেন তাদের হজমশক্তি শক্তিশালী থাকে। পেটের গুরুতর রোগে তাদের আক্রান্ত হওয়ার হারও খুব কম। অযৌক্তিক গর্ব শিক্ষার্থীদের অনেকেই গর্ব করে বলেন, আমি রাত ৩টা পর্যন্ত পড়াশোনা করি। এমন কথা বলা এবং কাজ করা বোকামি। রাত করে পড়লে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম হলো মগজের খাবার। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ব্রেন খাবার পায় না। ফলে যত পড়াশোনা করাই হোক, তা মনে থাকে না। শিশু কিশোররা দ্রম্নত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। না ঘুমালে তাদের মেধার বিকাশেও সমস্যা হয়। লোকমুখে শোনা যায়, ভোরে এক ঘন্টা পড়াশোনা রাতের কয়েকঘন্টা পড়াশোনার চেয়ে বেশি উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, লোকমুখে প্রচলিত এ কথা শতভাগ বাস্তব। রাত জাগলে হতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা রাত জাগলে দিনের বেলা চোখে ঘুম ঘুম ভাব থাকে। মাঝে মাঝে তন্দ্রা চলে আসে। ঘুম চোখে গাড়ি চালালে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। অন্যদিকে ভালো ঘুম হলে, গাড়ি চালিয়ে আনন্দ পাওয়া যায়। নিরাপদ থাকা যায় এবং নিরাপদ রাখা যায়। অফিসে কাজে সমস্যা রাতে না ঘুমালে অফিসে কাজের সময় ঘুম চলে আসবে। এতে অল্প কাজ করতেও সময় লেগে যাবে কয়েকগুণ। কাজে ভুল হয় বেশি। প্রতিদিন এভাবে অফিসে ঘুমাতে থাকলে এবং ভুল কাজ করলে বিরক্ত হয়ে যায় ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। যে কোনো সময় চলে যেতে পারে সোনার হরিণ চাকরি। সমস্যা হতে পারে গাড়িতে সকালে অফিসে যাওয়ার সময় যদি গাড়িতে ঘুমাতে থাকেন এবং পাশের যাত্রীর গায়ে ঢলে পড়তে থাকেন। তাহলে পাশের যাত্রী বিরক্ত হয়ে বলতে পারে মন্দ কথা এবং ঘটতে পারে হাতাহাতির মতো ঘটনা। পরিবারে হতে পারে অশান্তি রাতে ঘুম না হলে মেজাজ থাকে খিটমিটে। ফলে বাচ্চা জ্বালাতন করলে কিংবা পরিবারের মানুষ রাগ করে কোনো কথা বললে, তা সয়ে নেওয়ার মতো ধৈর্য থাকে না। মাথা গরম হয়ে যায় অল্পতেই। কখনো বাচ্চাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। কখনো চিলস্নাচিলিস্ন ও ঝগড়া শুরু হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এভাবে পরিবারে নেমে আসে অশান্তি। নষ্ট হয়ে যায় চেহারার সৌন্দর্য রাতে না ঘুমালে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। ত্বক খসখসে হয়ে যায়। মুখে হয় ব্রণ। দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতে হয় চেহারা নিয়ে। দৌঁড়াতে হয় ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে। নষ্ট হয় সময় এবং অযথা ব্যয় হয় অর্থ। রাতে ভালো ঘুম হলে চেহারার আলাদাভাবে কোনো যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ত্বক তাকে মসৃণ ও সতেজ। নিয়মিত রাতে না ঘুমালে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়। অল্প বয়সের মানুষকেও বৃদ্ধ মনে হয়। চেহারায় মায়া মায়া ভাব ও তারুণ্য বজায় রাখতে হলে রাতে আপনাকে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে। ঘুম থেকে উঠতে হবে ভোরে। গায়ে মাখতে হবে সকালের হাওয়া। মাথায় টাক পড়ে যায় চুল পড়তে থাকলে আমাদের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। অথচ আমরা রাতে ঠিকমত ঘুমালে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারি। দ্রম্নত বার্ধক্য চলে আসে নিয়মিত রাতে না ঘুমালে মানুষের হাঁটাচলা দুর্বল হয়ে যায়। তরুণদেরও কুঁজো হয়ে হাঁটতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার ক্ষমতার হারিয়ে যায়। চলাফেরায় থাকে না কোনো উৎফুলস্নতা। বিদু্যৎ অপচয় রাতে না ঘুমিয়ে পড়াশোনা করলে কিংবা ল্যাপটপ চালালে লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়। এতে অপচয় হয় বিদু্যৎ। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়শোনা ও কাজ দিনের আলোতে করা যায়। এতে বিদু্যৎ সাশ্রয় হয়। বৈদু্যতিক লাইটের আলোতে কাজ করলে শরীরের ক্ষতি হয়। অন্যদিকে দিনের আলোতে কাজ করলে শরীর পায় ভিটামিন ডি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে গবেষণায় দেখা গেছে, মাসের পর মাস যারা রাতে ঘুমায় না। তাদের মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। কর্মোদ্যমতা কমে যায় রাতে যারা কাজ করে দিনের বেলা তাদের ঘুম ঘুম ভাব থাকে। কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। সবকিছুতেই বিরক্তি চলে আসে। ঘুম ঘুম ভাব থাকার কারণে অলসতা কাজ করে। তাই শরীরে থাকে না উদ্যম। নীল ছবি আসক্তি বাড়ে রাতে না ঘুমালে মাথায় নানান খারাপ চিন্তা আসতে থাকে। এ খারাপ চিন্তাগুলো একসময় মানুষকে নীল ছবি দেখতে আগ্রহী করে তোলে। একবার নীল ছবি আগ্রহ চলে আসলে তা ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হয়ে যায়। নীল ছবি র আসক্তি মানুষের নৈতিকতা শেষ করে দেয়। অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয় ফেসবুকিং করতে ভালো লাগছে না। মোবাইল দেখতেও ভালো লাগছে না। গেম খেলতেও মন চাচ্ছে না। আবার ঘুমও আসছে না। মোবাইল হাতে নিয়ে এলোমেলো নাম্বারে ফোন করার অপচেষ্টা শুরু হয়। কখনও কখনও জুটেও যায় কথা বলার সঙ্গী। ধীরে ধীরে এ সম্পর্ক অনৈতিকতা পর্যন্ত গড়ায়। মোবাইল ও ফেসবুকে আসক্তি তৈরি হয় রাত জেগে থাকলে আর কিছু হোক আর না হোক, মোবাইল ও ফেসবুকে আসক্তি আসবেই। এমনি এমনি তো জেগে থাকা যায় না, কিছু না কিছু তো করতে হয়। মোবাইল চালানো এবং কিছুক্ষণ পর পর ফেসবুকে ঢু মেরে মেরে রাত জাগতে জাগতে তৈরি হয় মোবাইল ও ফেসবুক আসক্তি। সূর্য দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত রাত জাগলে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে না পারাই স্বাভাবিক। এভাবে নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে না ওঠার কারণে সূর্য দেখার আনন্দ পাওয়া যায় না কখনো। ভোরের মিষ্টি রোদ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রাতজাগা মানুষ ভোরের মিষ্টি রোদ থেকে কখনও উপকৃত হতে পারে না। তারা যখন ঘুম থেকে উঠে, তখন থাকে প্রখর রৌদ্র। সূর্যের প্রখর রৌদ্রে থাকে 'আল্ট্রাভায়োলেট লাইট' বা অতিবেগুনি রশ্মি। এই প্রখর রৌদ্রে বের হওয়ার কারণে রাতজাগা অনেকেই স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যায়। এতক্ষণ রাতজাগার অপকারিতা শুনলাম। প্রিয় পাঠক, আমার বিশ্বাস এ লেখা পড়ার পর আপনি আর রাত জাগেবেন না। ভোরে ঘুম থেকে উঠতে ভুলবেন না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সমস্যা তো শুনলাম সমাধান কী? কী করলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে এবং ভোরে ওঠা যাবে? নিচে কিছু উপায় তুলে ধরা হলো। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা পর ঘুমালে হজমশক্তি ভালো থাকে। পেটের সমস্যা হয় না। এজন্য রাত ৮টার মধ্যে খাবার সেরে নিলে, ১০টায় ঘুমানো যায়। এতে ঘুমও ভালো হয় এবং শরীরও ভালো থাকে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যান প্রথমত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে হবে। মন চাবে না। এরপরেও জোর করে ঘুমাতে হবে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে ভোরে চোখ খুলে যাবে। রাতে ঘুম না হলে ভোরে ওঠা কঠিন হয়ে যাবে। ঘরে আলো ঢোকার ব্যবস্থা করা রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য অন্ধকার ও নীরব ঘরের প্রয়োজন হলেও, ভোরে ঘুম ভাঙার জন্য আলোকিত ঘর প্রয়োজন। এজন্য যেটা করা যেতে পারে, জানালার পর্দা উঠিয়ে রাখা। রাতে অন্ধকার থাকায় সমস্যা হবে না। সকাল হলে আলো আসতে শুরু করবে। শরীরে সূর্যের আলো পড়লে ঘুম ভেঙে যাবে। অ্যালার্ম ঘড়ি ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে অনেক দূরে রাখুন। অ্যালার্ম বাজতে বাজতে থাকলে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে বন্ধ করুন। এরপর আবার শুইতে মন চাইলেও শোবেন না। কয়েকদিন খারাপ লাগবে, এরপর ঠিক হয়ে যাবে। মোবাইলে কোনভাবে অ্যালার্ম দিবেন না। এতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে গিয়ে মোবাইল আসক্ত হয়ে যায় মানুষ। পানি পান করুন সকালে ঘুম ভেঙে গেলে এক গস্নাস পানি পান করুন। চেহারা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন, আপনার ঘুম ঘুম ভাব দূর হয়ে যাবে। সকালে হাঁটুন সকালে ঘাম ঝড়িয়ে হাঁটলে শরীরে উদ্যম আসে। কাজ করতে ভালো লাগে। এছাড়া শরীর ভিটামিন ডি পায়। সুস্থ থাকে শরীর। কর্মব্যস্ত থাকুন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত থাকুন। তাহলে শরীর ক্লান্ত থাকবে। রাতে না চাইলেও ঘুম চলে আসবে। অলস থাকলে শরীর ক্লান্ত থাকে না। ফলে ঘুম আসতে চায় না। দুপুরে ঘুমাবেন না অনেকে দুপুরে খাবারের পর ঘুমিয়ে যান এবং উঠেন কয়েকঘন্টা পর। ফলে রাতে ঘুম আসতে চায় না। দুপুরের খাবারের পর হালকা শুয়ে থাকা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এ শুয়ে থাকা যেন লম্বা ঘুম না হয়ে যায়, সে চেষ্টা করা উচিৎ। ফজরের নামায পড়ার চেষ্টা করুন মুসলিমদের উচিৎ ফজরের নামায জামাতের সঙ্গে আদায় করা। নামাযের ভালোবাসা অন্তরে তৈরি হয়ে গেলে আযান শুনলেই ঘুম ভেঙে যাবে। এতে ধর্ম পালন হবে এবং শরীরও ভালো থাকবে। অন্য ধর্মের যারা আছেন, তারাও ভোরে উপাসনা করার চেষ্টা করুন। ভোরে ঠান্ডা মেজাজে স্রষ্টাকে মনযোগ দিয়ে সবকিছু বলা যায়। স্রষ্টাকে মনের কথা বলে মনকে হালকা করা যায়।