মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

গরমে ফলের রস দূর করে যাবতীয় ক্লান্তি

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
গরমে ফলের রস দূর করে যাবতীয় ক্লান্তি

চলছে বর্ষাকাল। অথচ গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতিতে সুস্পষ্ট। সূর্যের খরতাপ, উচ্চ তাপমাত্রা আর সেই সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া দেহের আর্দ্রতা কমিয়ে কর্মোদ্যম আর সুস্থতা ব্যাহত করছে আমাদের সবারই। আর এমন সময়েই চোখ বুজে এক গস্নাস ফলের রসের কথা ভাবলেই ভেতরটায় শীতল সুখ অনুভূত হয়। এমন আবহাওয়ায় তৃষ্ণা আর পুষ্টি-এ দুই নিরিখেই ফলের এক গস্নাস খাঁটি রসই পারে দেহে সঞ্জীবনী শক্তি ও সতেজ অনুভূতির সঞ্চার করতে। আর সত্যিকার অর্থেই এ সময়ে শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখা অর্থাৎ শরীরকে পানিশূন্য হতে না দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখাও প্রয়োজন।

শরীরে তরল পদার্থের ঘাটতি মেটানো তো বটেই, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায়ও ফলের রস যথেষ্ট সহায়ক। করোনা, ডেঙ্গু ও বিভিন্ন ভাইরাল জ্বরের সময় চিকিৎসকরা ফলের রস পান করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের একটি ভালো উৎস ফলের রস।

বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় শরীরের ডিটক্সিফিকেশন বা শরীরকে ভেতর থেকে ক্লিনজিং বা পরিষ্কার করতে ফলের রসের ভূমিকার কথা জানা যায়। এতে ব্যবহৃত ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণে তা শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ করে, শরীরের টক্সিন নির্মূল করে এবং ইমিউন সিস্টেম গড়ে তোলে। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ সুস্মিতা হোসাইন খান বলেন, তাজা ও খাঁটি ফলের রস শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করে শরীরকে সতেজ রাখে। শরীরে এই গরমে ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালেন্স ধরে রাখতেও ফলের রস উপকারী। আবার এই প্রচন্ড গরমে শরীরে অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা ঠিক রেখে ভেতর থেকে শীতল রাখতে, শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চাঙা রাখতে ফলের রসের জুড়ি নেই। দিনের শত কাজের মধ্যেও এভাবে শরীরকে স্বস্তি ও আরাম দেওয়া যায় এক গস্নাস পুষ্টিকর, সুস্বাদু ফলের রস।

বাজারে কতশত ব্র্যান্ডের যেসব ফলের রস আছে, তার হিসাব রাখা মুশকিল। কিন্তু পুষ্টিবিদ সুস্মিতা হোসাইন খান বলেন, চিনির পরিমাণ বেশি হলে, প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকলে এবং খাঁটি ফল থেকে তৈরি না হলে, ফলের রস বরং ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এদিক থেকে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্কয়ারের 'আরাম' জুস অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। এর কারণ হচ্ছে এতে আলাদা করে চিনি দেওয়া থাকে না, খাঁটি ফল থেকে তৈরি হয় আরাম ব্র্যান্ডের কমলা, আম ও আপেলের ফলের রস। এতে কোনো রকম কৃত্রিম রং ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহৃত হয় না। এসব কারণেই আরাম ১০০ ভাগ ফলের রস বেছে নিচ্ছেন তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অনেকেই। নিজে তো বটেই, শিশুসহ নিয়মিত পরিবারের সবাইকে আরাম জুস পরিবেশন করেন গৃহিণী ফারজানা আক্তার। তিনি বলেন, আরাম জুসের স্বাদ, মান ও পুষ্টিগুণে তিনি খুবই সন্তুষ্ট এবং আসছে রমজান মাসে তিনি ইফতারের টেবিলে অবশ্যই রোজ আরাম জুস রাখবেন।

ফলের রস অত্যন্ত উপাদেয় এবং সর্বজনপ্রিয় একটি পানীয়। অন্যান্য ক্ষতিকর কৃত্রিম রং, ফ্লেভার ও প্রিজারভেটিভ, অ্যাডিটিভযুক্ত কোমল পানীয় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই পানি ছাড়া অন্য পানীয়ের ক্ষেত্রে খাঁটি ফলের রস বা জুস সব সময় অধিক পছন্দনীয়। এ ছাড়া ফলের রস খুবই রুচিবর্ধক। গরমে, ক্লান্তিতে এক গস্নাস ফলের রস পানিশূন্যতা দূর করে দেহ-মনে আনে চনমনে ভাব, আর সেই সঙ্গে জোগায় পুষ্টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে