মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

বর্ষাকালে ত্বকের সমস্যা: কারণ লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
বর্ষাকালে ত্বকের সমস্যা: কারণ লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

নীলফামারী সদর, নীলফামারী।

(চিকিৎসক, কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক)

প্রকৃতির হেয়ালি ব্যঞ্জনায় ঋতু পরিবর্তনের ধারায় এখন চলছে বর্ষাকাল। এই রোদ, এই মেঘ, এই বৃষ্টি; কিংবা খানিক বাদে ভ্যাপসা গরম। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকে। ভ্যাপসা গরম ঘাম ঝরায়। কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থা হয়। এর মাঝেই চলে দৈনন্দিন সব কাজকর্ম। এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: সর্দি ও কাশি, ডায়রিয়া ও পেটের সমস্যা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু, ত্বকের সংক্রমণ, ফ্লু ও ভাইরাল জ্বর ইত্যাদি। বর্ষাকালে ত্বকের রোগ অনেক বেশি দেখা যায়। আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ত্বক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এখানে সাধারণ কিছু বর্ষাকালীন ত্বকের সমস্যা তুলে ধরা হল :

ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও কারণ:

আর্দ্রতা: বর্ষাকালে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যা ফাঙ্গাস বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

ঘাম: ঘামের কারণে ত্বকের ভাঁজে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়।

অপরিষ্কার পোশাক : বর্ষাকালে ভেজা ও অপরিষ্কার পোশাক পরলে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়।

সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করা: নিয়মিত হাত-মুখ পরিষ্কার না করা ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়।

লক্ষণ : ঋতু পরিবর্তনের ধারায় এখন চলছে বর্ষাকাল। এই রোদ, এই মেঘ, এই বৃষ্টি; কিংবা খানিক বাদে ভ্যাপসা গরম। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকে। ভ্যাপসা গরম ঘাম ঝরায়। কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থা হয়। এর মাঝেই চলে দৈনন্দিন সব কাজকর্ম। এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: সর্দি ও কাশি, ডায়রিয়া ও পেটের সমস্যা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু, ত্বকের সংক্রমণ, ফ্লু ও ভাইরাল জ্বর ইত্যাদি। বর্ষাকালে ত্বকের রোগ অনেক বেশি দেখা যায়। আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ত্বক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

দ্ব আক্রান্ত স্থানে তীব্র চুলকানি হতে পারে।

দ্ব ত্বকে লালচে বা গোলাকার দাগ দেখা যায়, যা পরে রিংয়ের মতো আকার ধারণ করতে পারে।

দ্ব সংক্রমিত স্থানে ত্বকের খোসা উঠতে পারে।

দ্ব ত্বকে ফাটল বা শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।

দ্ব কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে ফোস্কা পড়তে পারে- যা থেকে পুঁজ বা পানি বের হতে পারে।

দ্ব নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে:

হ নখ হলুদ, সাদা বা বাদামি হয়ে যেতে পারে।

হ নখ শক্ত হয়ে যেতে পারে।

হ নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।

হ নখের প্রান্তে ফাটল বা ভাঙন দেখা দিতে পারে।

দ্ব পায়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন (অ্যাথলেটস ফুট) হলে :

হ পায়ের আঙুলের মাঝখানে বা তলায় তীব্র চুলকানি ও জ্বালা অনুভূত হতে পারে।

হ পায়ের আঙুলের মাঝে লালচে বা সাদা দাগ দেখা যায়।

হ পায়ের তলায় ফাটল ও শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।

হ ফোস্কা পড়ে পুঁজ বা পানি বের হতে পারে।

দ্ব মাথার ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন (স্ক্যাল্প রিংওয়ার্ম)হলে :

হ মাথার ত্বকে তীব্র চুলকানি হতে পারে।

হ মাথার ত্বকে গোলাকার ফাঙ্গাল দাগ দেখা দিতে পারে- যার মাঝখান ফাঁকা থাকতে পারে।

হ সংক্রমিত স্থানে চুল পড়ে যেতে পারে।

হ মাথার ত্বকে ক্ষত বা ফোস্কা পড়তে পারে।

দ্ব মলদ্বার ও যৌনাঙ্গে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে:

হ মলদ্বার ও যৌনাঙ্গে তীব্র চুলকানি ও জ্বালা অনুভূত হতে পারে।

হ সংক্রমিত স্থানে লালচে বা সাদা দাগ দেখা যায়।

হ ফোস্কা পড়ে পুঁজ বা পানি বের হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণে করণীয় :

ত্বক শুকনো রাখুন : বর্ষাকালে ত্বক সব সময় শুকনো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোসলের পরে ও ঘামের পরে ত্বক ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

সুতির পোশাক পরুন: সুতির আরামদায়ক পোশাক পরুন- যা ঘাম শোষণ করে ও ত্বক শুকনো রাখে।

ফাঙ্গাস নিরোধক পাউডার/ক্রিম ব্যবহার করুন: চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আক্রান্ত স্থানে ফাঙ্গাস নিরোধক পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করুন।

পরিষ্কার পোশাক: পরিষ্কার ও শুকনো পোশাক পরুন এবং নিয়মিত পোশাক ধোয়ে ফেলুন।

সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: নিয়মিত হাত-মুখ ধোয়া, পরিষ্কার বিছানার চাদর ও তোয়ালে ব্যবহার করা।

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: ইনফেকশন গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করুন।

অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস :

অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস- যা সাধারণত কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস নামে পরিচিত, ত্বকের একটি প্রদাহজনিত অবস্থা যা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার ফলে হয়।

কারণ:

আর্দ্রতা ও ঘাম: বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেড়ে যায় এবং বেশি ঘাম হয়- যা ত্বকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

পোলেন ও মোল্ড স্পোরস: বর্ষাকালে বাতাসে পোলেন ও মোল্ড স্পোরসের পরিমাণ বাড়ে- যা ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।

কেমিক্যাল ও ডিটারজেন্ট : কিছু কেমিক্যাল, ডিটারজেন্ট, সাবান ও সুগন্ধি অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যালার্জি বাড়াতে পারে খাবারে: কিছু খাবার যেমন সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, এবং দুগ্ধজাত পণ্য অ্যালার্জি বাড়াতে পারে।

কীটনাশক ও রং: কিছু কীটনাশক ও রঙের উপাদান ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

লক্ষণসমূহ:

দ্ব ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লালচে ভাব এবং ফোলা দেখা যায়।

দ্ব তীব্র চুলকানি হয়- যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্বস্তিকর।

দ্ব ছোট ছোট ফোসকা বা বাম্প দেখা যেতে পারে- যা পরে ফেটে যেতে পারে।

দ্ব ত্বকের্ যাশ দেখা দেয়- যা সাধারণত অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসা স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে।

দ্ব ত্বক শুষ্ক ও ফাটা হতে পারে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ত্বক পুরু হয়ে যেতে পারে।

দ্ব গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে ফোসকা থেকে পুঁজ বা পানি বের হতে পারে।

দ্ব ত্বকে জ্বালা বা পোড়া অনুভূতি হতে পারে।

দ্ব দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিসে আক্রান্ত স্থানের ত্বক পুরু এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় লক্ষণ:

দ্ব সাধারণত হাত ও পায়ে ডার্মাটাইটিস দেখা দেয়, কারণ এ স্থানে সহজে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ ঘটে।

দ্ব মুখমন্ডলে অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস হলে ত্বক লালচে ও ফোলা হয়ে যেতে পারে।

দ্ব গলায় চুলকানি ও ফোলা দেখা যায়।

দ্ব এই স্থানগুলোতেও অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস হতে পারে, বিশেষ করে যদি এই স্থানে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ ঘটে।

নিয়ন্ত্রণে করণীয়:

এলার্জেন থেকে দূরে থাকা: অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থেকে দূরে থাকুন। বিশেষ করে পোলেন, মোল্ড এবং নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: নিয়মিত হাত-মুখ ধোয়া এবং পরিষ্কার পোশাক পরুন।

হাইপোঅ্যালার্জেনিক পণ্য ব্যবহার: হাইপোঅ্যালার্জেনিক সাবান, ডিটারজেন্ট এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল: গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন- যা ত্বক শীতল রাখবে।

মেডিকেটেড ক্রিম ও ওষুধ: চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালার্জি নিরোধক ক্রিম ও ওষুধ ব্যবহার করুন।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

স্টেরয়েড ক্রিম: চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে- যা তীব্র চুলকানি ও র?্যাশ কমাতে সাহায্য করে।

এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট: চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালার্জি কমানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইমপেটিগো:

ইমপেটিগো ইনফেকশন সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে এটি বড়দের মধ্যেও হতে পারে। সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রম্নত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং আক্রান্ত স্থানে স্পর্শ এড়ানো উচিত, কারণ এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কারণ:

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: ইমপেটিগো সাধারণত স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস এবং স্ট্রেপ্টোকক্কাস পাইয়োজেনস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়।

আর্দ্রতা ও ঘাম: বর্ষাকালে ত্বকে আর্দ্রতা এবং ঘামের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

ত্বকের আঘাত: ত্বকে ছোট ছোট কাটা, ঘা, বা ক্ষত থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজে সংক্রমণ করতে পারে।

অপরিষ্কারতা: ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ানো: আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসা বা তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

লক্ষণসমূহ:

দ্ব প্রথমে ত্বকে লালচে ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়- যা দ্রম্নত ফোস্কায় পরিণত হয়।

দ্ব ফোস্কাগুলো ছোট এবং ভঙ্গুর হয় এবং এগুলো সহজেই ফেটে যায়।

দ্ব ফোস্কা ফেটে গেলে হলুদ বা মধুর মতো রঙের পুঁজ বের হতে পারে এবং এরপর সেই স্থান ক্রাস্ট বা পাড় হয়ে যায়।

দ্ব সংক্রমিত স্থানে লালচে বা গোলাকার দাগ দেখা যায়।

দ্ব আক্রান্ত স্থানে চুলকানি এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে।

দ্ব সংক্রমিত স্থানে ত্বক ফাটতে পারে এবং খোসা উঠতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে:

দ্ব মুখের চারপাশে, বিশেষ করে নাক এবং মুখের আশপাশে ইমপেটিগো সংক্রমণ দেখা যায়।

দ্ব সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে এবং শিশুদের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

গুরুতর সংক্রমণের লক্ষণ :

দ্ব শরীরে ফোস্কা ছড়িয়ে পড়া : সংক্রমণ দ্রম্নত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

দ্ব জ্বর ও ক্লান্তি: সংক্রমণ গুরুতর হলে জ্বর, ক্লান্তি ও অন্যান্য সিস্টেমিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

দ্ব লিম্ফ নোড ফোলা: সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে নিকটবর্তী লিম্ফ নোড ফুলে যেতে পারে।

পায়ে ও হাতে সংক্রমণ হলে:

দ্ব পায়ে ফোস্কা: পায়ের আঙুলের মাঝে বা পায়ের তলায় ফোস্কা হতে পারে।

দ্ব হাতে ফোস্কা: হাতের ত্বকে ফোস্কা এবং পুঁজ দেখা দিতে পারে।

নিয়ন্ত্রণে করণীয় :

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: ত্বক সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখা উচিত। নিয়মিত হাত-মুখ ধোয়া।

অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করা।

ক্ষত পরিষ্কার রাখা: সংক্রমিত স্থানের ক্ষত সব সময় পরিষ্কার রাখা এবং ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা।

সঠিক পোশাক পরা: পরিষ্কার ও আরামদায়ক পোশাক পরা যা ত্বকে ঘর্ষণ বা আঘাত সৃষ্টি করবে না।

আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানো: আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে, কাপড়, এবং বিছানা আলাদা রাখা।

নখ কাটা ও পরিষ্কার রাখা: শিশুদের নখ ছোট এবং পরিষ্কার রাখা যাতে তারা সংক্রমিত স্থানে চুলকাতে না পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ: সংক্রমণ গুরুতর হলে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা।

বিশ্রাম নেওয়া: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে