অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চা করা ছড়া বিকল্প নেই। অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার কারণে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে সবারই চেষ্টা করা উচিত প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনার। সেক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে একটি যোগাসন। এই যোগাসনের মাধ্যমে মেদ কমানো থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। যোগাসনটি হলো উষ্ট্রাসন। চলুন জেনে নেওয়া যাক উষ্ট্রাসন করবেন কীভাবে-
প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে পায়ের উপর বসতে হবে। এই অবস্থায় হাত দুটো উরুর উপর থাকবে। শরীর থাকবে সোজা। এবার হাঁটুতে ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশ বসার ভঙ্গি থেকে উঠে দাঁড়াবেন।
হাত দুটি থাকবে নিতম্বের উপর। এবার নিতম্বে হাতের চাপ দিয়ে কনুই ভাঁজ করে শরীর পেছনের দিকে হেলিয়ে দিতে হবে যতটা সম্ভব। মাথাও এমনভাবে হেলবে যাতে গলার পেশি প্রসারিত হয়।
এই অবস্থায় নিতম্ব থেকে হাত দুটি পায়ের পাতার উপর চলে যাবে। শরীর একইরকম পেছনে হেলানো থাকবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ব্যায়ামটি হয়ে গেলে হাত দুটি উঠিয়ে শরীরের দু'পাশে রাখবেন। শরীর সোজা হয়ে যাবে।
উষ্ট্রাসনের উপকারিতা
১. উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশারের সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে উষ্ট্রাসন। ২. পেটের মেদ ঝরাতে বেশ উপকারী ব্যায়াম হলো উষ্ট্রাসন। নিয়মিত এটি করলে দ্রম্নত ওজন ঝরে। ৩. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে উষ্ট্রাসন। কারণ এই ব্যায়ামে মস্তিষ্ক ও বুকে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ৪. শরিরে রক্তসঞ্চালন দ্রম্নত করে উষ্ট্রাসন।
৫. পিঠ ও ঘাড়ের পেশি শক্ত ও মজবুত করতেও উপকারী উষ্ট্রাসন।
তবে যারা হার্নিয়া, আর্থ্রাইটিস, ভার্টিগোতে ভুগছেন তারা এই যোগাসনে এড়িয়ে চলবেন। একই সঙ্গে গর্ভাবস্থায়ও এই যোগাসনটি করবেন না।