রাগ হলো আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কখনো কখনো যুক্তির চেয়েও এই আবেগটাই হয়ে যায় প্রধান। কিন্তু সেটা কতটা ইতিবাচক? বিশেষ করে ক্রোধ কিংবা অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা? অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাগ খুবই স্বাভাবিক আবেগ। কিন্তু এই আবেগের প্রকাশ যদি অনিয়ন্ত্রিত বা অন্যের জন্য ক্ষতিকারক অথবা অপ্রীতিকর হয়, তখন এটি নিঃসন্দেহে অগ্রহণযোগ্য। কেন বেশি রাগ হয়? ভয়, লজ্জা, বিরক্তির মতো নানা কারণেই রাগ দেখায় মানুষ। এ ছাড়াও ক্ষণে ক্ষণে রেগে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে অন্য কোনো কারণ। সম্পর্ক বা আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া মানসিক চাপও রাগের পেছনে একটি বড় কারণ। কয়েক ধরনের মানসিক অসুখও রাগ প্রকাশ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বিষয়ে নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপে থাকে, তবে তার মানসিক চাপ রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। এমন অবস্থায় সাধারণত মানুষ তার নিজেকে সঠিকভাবে প্রকাশ না করতে পারলে তা রাগের মাধ্যমে ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেয়। বাইপোলার ডিজঅর্ডার এই অসুখ থাকলে ক্ষণে ক্ষণে মনের ভাবে পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত আনন্দের আবহেও অনেক সময়ে ঘিরে ধরে রাগের অনুভূতি। ফলে খুব ভালো সময়ও মুহূর্তে বিষাক্ত হয়ে ওঠে। পারিবারিক পরিবেশ কোন ব্যক্তি কেমন আচরণ করবে তার অনেকটাই নির্ভর করে সে কীভাবে বেড়ে উঠেছে। অভিভাবকরা অল্পতেই রেগে যান এমন পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুরাও একই ধরনের আচরণ শেখে। এছাড়াও সবকিছুতে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ, খুঁতখুঁতে স্বভাব, অতিরিক্ত কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাব, ব্যর্থতা মেনে না নেওয়ার মনোভাব ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের মানুষের মধ্যে অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।