শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা

রূপচর্চা প্রাচীন আমল থেকেই শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনে নারী-পুরুষ সবাই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনীসামগ্রী উদ্ধার করে থাকে। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি নিম্নমানের বা মানহীন প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের কারণে শুধু ক্যানসার নয় বরং স্নায়ুবিক দুর্বলতাসহ কিডনি পর্যন্ত অচল হয়ে যেতে পারে। ভেজাল প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যার কারণে ভবিষ্যতে প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রসাধনীসামগ্রী হিসেবে রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা হয়- যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। রঙ ফর্সাকারী ক্রিমগুলোতে হাইড্রোকুইনোন নামে একটি পদার্থ থাকে যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকে সাদা দাগ সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বকে শোষণ হয় বলে শরীরের শুধু উপরিভাগে নয় বরং অভ্যন্তরেও ক্ষতি করতে পারে। কখনো কখনো এই রঙ ফর্সাকারী ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ত্বকে ক্যানসার পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। শুধু ক্রিম কেন ঠোঁটে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নকল ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ক্রমাগত ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় ঠোঁট ফুলে যায়। এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনীসামগ্রী ছাড়া অন্য কোনো প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহার মোটেই ঠিক নয় অর্থাৎ প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আমলকী খাওয়ার

১০টি উপকারিতা

১. আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি

গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

২. আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৩. এক গস্নাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকীর গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। এসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গস্নাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।

৫. প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৬. আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকী চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল- যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৭. প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনার জন্য আমলকী অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

৯. শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১০. বস্নাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

ম যাযাদি ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে