বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১৮ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

কোভিড-১৯ রোগের ঝুঁকিতে ডায়াবেটিস রোগীরা

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন কারণ অনেক ডায়াবেটিস রোগী 'কোভিড-১৯ এর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এবং মৃতু্যর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।'

শনিবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় জাতিসংঘপ্রধান বলেন, 'ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছে তবে নিম্ন ও মধ্যআয়ের দেশগুলোতে এ রোগটির দ্রম্নত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে যেখানে জীবন রক্ষামূলক চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য নয়।'

একটি নিরাশার চিত্র

বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত (২০১৪ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে ডায়াবেটিসের হার ৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮.৫ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণগুলোও বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা। ডায়াবেটিস অন্ধত্ব, কিডনির সমস্য, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান কারণ। আর করোনা মহামারি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে যাদের নিয়মিত যত্ন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন।

সামনেই আশা

জাতিসংঘ বলছে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং ধূমপান না করার মাধ্যমেই টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা বিলম্ব করা সম্ভব, যাকে আগে নন-ইনসুলিননির্ভর বা প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস বলা হতো। ওষুধ এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ছাড়াও জটিল এ রোগের চিকিৎসা করা যায় এবং এর পরিণতি এড়ানো বা বিলম্বিত করা সম্ভব।

গুতেরেস জানান, আগামী বছর ডবিস্নউএইচও বৈশ্বিক ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট চালু করছে যা 'ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে একটি নতুন উদ্যোগ এবং আমাদের পরিপূরক প্রচেষ্টার কাঠামো ও সমন্বয় বয়ে আনবে।'

নার্সদের ভূমিকা

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২০-এর মূল প্রতিপাদ্য হলো- 'নার্স এবং ডায়াবেটিস', যার লক্ষ্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার জন্য এ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্ধেকেরও বেশি নার্স, যারা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের জীবনযাপনে সহায়তা করছেন।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন এবং তাদের সহায়তা করার জন্য নার্সদের দক্ষ করে তুলতে শিক্ষা জরুরি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আসুন আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা জোরদার, সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত এবং সবার প্রতি নমনীয়তা বাড়াই।' ইউএনবি অনলাইন

করোনা সংক্রমণ অর্ধেক কমিয়ে আনতে পারে বায়োএনটেকের টিকা

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের সম্ভাব্য টিকা। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন টিকাটি তৈরির সঙ্গে জড়িত শীর্ষ বিজ্ঞানী ও বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগার জাহিন। তিনি বলেছেন, টিকাটি করোনার সংক্রমণ কমাবে, হয়তো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এ বিষয়ে তিনি 'খুবই আত্মবিশ্বাসী'। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, জার্মান বায়োটেকনোলজিক্যাল প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করছে। টিকাটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠান দুটি জানায় তাদের টিকাটি করোনা সংক্রমণ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে।

জাহিন জানান, তার প্রত্যাশা আরও বিশ্লেষণ করলে প্রমাণ হবে যে, তাদের টিকাটি রোগটির বিস্তার বন্ধেও কার্যকর। তবে সে কার্যকারিতা হয়তো ৯০ শতাংশ নয়।

তিনি জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিকাটির সংক্রমণ হ্রাসে কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।

রোববার বিবিসি ওয়ানের দ্য অ্যান্ড্রম্ন মার শো অনুষ্ঠানে জাহিন বলেন, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ও এখন পর্যন্ত অন্যান্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে আমরা যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে আমার প্রত্যাশা, কোনো টিকা রোগ-প্রতিরোধে উচ্চপর্যায়ে কার্যকর হলে, তা স্বল্প পরিমাণে রোগটির সংক্রমণ রোধেও কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, 'আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কার্যকর টিকা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হয়তো ৯০ শতাংশ নয়; কিন্তু ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। তবে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না, সেটুকুও নাটকীয়ভাবে মহামারির বিস্তার কমিয়ে আনবে।'

বায়োএনটেক আগে জানিয়েছে, তাদের সম্ভাব্য টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী মাসগুলোয়। টিকাটি উপসর্গহীন সংক্রমণ রোধ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে এক বছর লেগে যেতে পারে। এ ছাড়া টিকাটি গ্রহণের পর ঠিক কতদিন ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে তাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।

তবে জাহিন রোববার জানান, অ্যান্টিবডির পরিমাণ বিবেচনায় প্রতি বছর বা দুই বছর পর পর বা পাঁচ বছর অন্তর অন্তর টিকাটি গ্রহণ করতে হতে পারে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে