হেমন্তের নবান্নে
প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শাহীন পরদেশী
শীতের সকাল সূর্যি মামা ভিষণ করে আড়ি
গাঁয়ের মেয়ে ধান শুকাতে মস্ত বাড়াবাড়ি।
সূর্যি মামা কইগো তুমি একটু দেখা দাও
তোমার ঝলক দেখাও, যদি দুধ মাখা ভাত খাও।
সকালবেলা মিষ্টি রোদে উঠানে হয় মেলা
ধান শুকাতে গাঁয়ের মেয়ের কাটে সারাবেলা।
ঝাঁক বেঁধে সব গাঁয়ের মেয়ে ধান শুকাতে ব্যস্ত
ভিড় জমিয়ে ধানের খেলায় হয়ে পড়ে ন্যস্ত।
কোত্থেকে এক উটকোনা বায়ু এসে পড়ে গাঁয়
শুকনো ধানের বারোটা বাজে একি হলো হায়!
ও আলস্নাহ, ও ইশ্বর বাঁচাও, বাঁচাও ওঠে ডাক
কিষাণীদের কান্নার রোল তবে শিশুরা খায় পাক।
ধানের কাজের শেষে ওঠে পিঠাপুলির ধুম
হেমন্তের নবান্নে মনে বাজে খুশির রুমঝুম।