মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
গল্প

দুষ্টু বিড়াল

পিনকু মিউ মিউ করে ওঠে। কিন্তু রাত হলেই তার আগে স্বভাব জেগে ওঠে। লোভ আর সহ্য করতে পারে না।
জুবায়ের মাহদি
  ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দুষ্টু বিড়াল

সাইফের নানুর বাড়ি গ্রামে। দুই ঈদের ছুটি ছাড়া নানুর বাড়ি যাওয়া হয় না বেশ একটা সাইফের। তবে আদরের নাতিকে দেখতে মাঝে মাঝে শহরে চলে আসেন সাইফের নানু। প্রতি বারই আসতে সাইফের জন্য নানান ধরনের জিনিস নিয়ে আসেন। এ বার আসতে সময় লালচে রঙের একটা বিড়াল ছানা নিয়ে আসেন।

সাইফ বিড়াল ছানা দেখে ভীষণ খুশি। পুরো সময় জুড়ে সে বিড়ালকে নিয়েই খেলে। ইশকুলে যেতে বিড়ালকে আদর করে খাইয়ে দেয়। আবার আসার পর প্রথমেই বিড়ালকে খাইয়ে দেয়। বিড়ালের সঙ্গে তার মিষ্টি মধুর সখ্যতা গঠেছে। সাইফ আদরকে পিনকু বলে ডাকে। পিনকু সাইফের নড়াচড়া শুনলেই মিউ মিউ ডাক শুরু করে। সাইফের এই অবস্থা, তার আব্বু আম্মুর কাছে মোটেই পছন্দ ঠেকছে না। তবুও ছেলের মন খারাপ কথা ভেবে তারা কিছু বলছেন না।

পিনকু এখন বেশ বড় হয়ে গেছে। তার মাঝে চুরির মতো ঘৃণিত স্বভাব চলে আসছে। মাঝে মাঝে রাতে কিচেনে গিয়ে এটা ওটা চুরি করে খেয়ে নেয়। সাইফ পিনকুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, তুমি এমনটা কেন কর? আমি কি তোমায় খাবার দেইনি! আগামীতে আর এমন কর না। বুঝতে পারছ? না হয় আম্মু আর তোমাকে আমার সঙ্গে থাকতে দিবে না।

পিনকু মিউ মিউ করে ওঠে। কিন্তু রাত হলেই তার আগে স্বভাব জেগে ওঠে। লোভ আর সহ্য করতে পারে না।

একদিন সাইফের আব্বু বিশাল বাজার-সদাই করেন বাসার জন্য। আগামী কাল তাদের বাসায় নতুন কয়জন মেহমান আসবে। অর্ধেক রাত করে তার আম্মু রান্নাবান্নার কাজ শেষ করে ঘুমাতে যান। বালিশে মাথা এলিয়ে ভাবছেন কীভাবে নতুন মেহমানদের মেহমানদারি করাবেন। দু'চোখে রাজ্যের ঘুমে ডুলু ডুলু করছে।

হঠাৎ কিচেনে ধপাস শব্দ শুনে আঁতকে ওঠেন তিনি। তাড়াহুড়ো করে কিচেনে গিয়ে দেখেন পাঁজি বিড়ালটা কাতলা মাছের পাতিলা থেকে ডাকনা সরিয়ে নিশ্চিত মনে খাচ্ছে। রাগে ফুসে তিনি বিড়ালটিকে একটা বস্তায় বেঁধে রাখেন। ভোর সকালে সাইফের আব্বুকে বলেন, এই দুষ্টু বিড়ালটি বাসা ছাড়া কর। ওর কর্মকান্ডে একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সাইফ ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই ওকে দূরে কোথাও রেখে আস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে