যাচ্ছি গাঁয়ে সবুজ গাঁয়ে মায়ার গাঁয়ে
বনের পাশে গাছগাছালি গাছের ছায়ে।
দীঘির পাড়ে আম কাঁঠালে হিজল গাছে
যেথায় পাখি পাতার ফাঁকে লুকিয়ে আছে।
মাঠ পেরুতে ক্ষেতের আলে চিকন আলে
চলতে হবে সজাগ হয়ে ছন্দে-তালে।
বাঁশের ঝাড়ে পেত্নী-ভূতে লুকিয়ে থাকে
ভয় পেও না পড়েই গেলে দুর্বিপাকে-
গলায় রেখ তাবিজ তবে ভয় পাবে না
খুব সাহসী হবেই মনে চমকাবে না।
কলমি বিলে শাপলা ফুলে ভ্রমর নাচে
শান্ত জলে সাঁতার কাটে রূপোর মাছে।
কিষাণ ছুটে লাঙল কাঁধে খেত-খলাতে
হাড় বেরুনো হালের গরু তার দু'হাতে।
পলস্নীবালা তোমায় দেখে মুখ লুকাবে
লজ্জা পেয়ে লাজুক লতা গুটিয়ে যাবে।
স্বর্ণলতা নিশিন্দা বা কুমড়ো ফুলে
বাওবাতাসে ছন্দে দেখ কেমনে দোলে।
সজনে ডাটা বরবটিতে দলকলমে
তোমার লাগি হাত বাড়িয়ে আছেই বসে।
ডাবের জলে ঠান্ডা জলে তিয়াস মিটে
খেজুর রসে তৃপ্তি দেবে চ?্যাপার পিঠে।
চাঁদনী রাতে গল্পদাদু গপ্পো কবে
কিরণমালা গাজীকালুর কিচ্ছা হবে।
ঘুমিয়ে যাবে নয়তো মিছে এই কথা না
ঘুম পরীরা ঘুমেই এসে দেবেই হানা।
ঘুরবে নানা রাজ্যে তুমি ঠিক জেনো তা
এই কাহিনী কুঁড়ের ঘরে দাওয়ায় পুঁতা।
চল্ রে দাদু চোখ জুড়ানো শ?্যামল গাঁয়ে
হাতছানিতে ডাকছে সোনার বাংলা মায়ে।