শরতে কৃষকের হাসি

প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

মোজাম্মেল সুমন
সকালবেলা মিষ্টি হেসে সূর্য ওঠা সোনার বরণন, বাংলাদেশে ফুটে ওঠে রূপমাধুরীর রূপের ধরন। ভোরবাতাসে সুবাস জাগে অন্যরকম খুশির বন্যা, শরৎ হলো ঋতুর রানী, রূপবতী চাঁদনি কন্যা। চিত্ত মাতে শেফালি বা শিউলিফুলের কচি ঘ্রাণে, বৃক্ষপাতায় দূর্বাঘাসে শিশিরে ছোঁয় অবুঝ প্রাণে। পরিবেশটায় রাশি রাশি জাফরানি রং যেন দেয়া, শিমুল তুলোর মতো ভেসে থাকে সাদামেঘের খেয়া। বইঠা হাতে মাঝি ভাইটি নৌকা চালায় নদীর বুকে, ভাটিয়ালি গানও গেয়ে চলে হিমেল বাতাস শুঁকে। পানকৌড়িদের ডুব নদীতে, বালিহাঁস ও পাখি ডাকে, মেঠো পথেই হেঁটে চলে গাঁয়ের বধূ কলসি কাঁখে। নদীর তীরে শরৎ মায়ায় কাশফুলেদের বয়ে যাওয়া, আমনধানে সবুজ চারায় ঝিরঝিরে ঢেউ খেলে হাওয়া। নদীর অল্প জলে চান্দা, খলসে মাছের রূপালি রূপ- বিলেঝিলে ফুটে থাকা শাপলা কিংবা পদ্মফুল চুপ। কৃষকেরা যায় পানতা ভাত খেয়েদেয়ে ক্ষেতের দিকে, মাথাতে লাল গামছা বাঁধা, মুখে হাসি, নয়কো ফিকে। কৃষক আবার অনাগত ধানের শিষে আশা বোনে, ক্ষেতের আলে শুয়েবসে ধানগাছেদের কথা শোনে। ধানগাছেদের চারা যেন শিশুর যত্নে বড় করা, চাষাবাদের পরিমিত সার, নিড়ানি মায়ায় ভরা। একটু বাতাস পেলে ধানের চারাগুলো হেলে দোলে, দেখে মনে হয় যে দুলছে কৃষকদেরই স্বাধীন কোলে। কৃষকেরা সকালে যায় বিকেলে যায় ক্ষেতের কাছে, কারণ ওদের পরিচর্যায় খাওয়া-পরার স্বপ্ন আছে। যথাসময় ধানের চারা দিবে সোনার দানার ন্যায় ধান, তাই শরতে রয় কৃষকের হাসিমুখে আনন্দের গান।