বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি থেকে লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়

মালেক সরদার
  ০৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে তার বন্ধু-বান্ধবরা যখন চাকরির পেছনে ছুটছেন। তখন তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে তার পিএইচডি গবেষণা সম্পূর্ণ করার। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম মুনের কথা। তিনি পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে 'ড্রাগ মেডিসিন' বিষয়ে পিএইচডি গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছেন।

ক্যাম্পাসের একজন প্রিয় মুখ তিনি। কারণ, ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই জড়িত ছিলেন নানা সংগঠনের সঙ্গে। বাগমারা ছাত্রবন্ধন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফাউন্ডিং জয়েন্ট সেক্রেটারি, এবং পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং বর্তমানে উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব গঠনে তার রয়েছে অনস্বীকার্য ভূমিকা। সায়েন্স ক্লাবের ফাউন্ডিং কমিটির সভাপতি। তা ছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

তা ছাড়া তিনি আরইউপিসি ডিবেটিং ফোরামের আহ্বায়ক ছিলেন। রাজশাহী থেকে প্রচারিত অনলাইন টেলিভিশন বরেন্দ্র টিভির সায়েন্স রিপোর্টার এবং উপস্থাপক। এ ছাড়া সায়েন্স গার্ডেন, বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াডসহ আরও বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে বলা যায় একজন দক্ষ সংগঠন তিনি। ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই সবার পরিচিত মুখ জহুরুল ইসলাম মুন। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সংগঠনের সফঙ্গ যুক্ত থাকতে আমার খুব ভালো লাগে। সেখানে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে চেনা-জানা হয়, নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়। আর প্রতিটা সংগঠন থেকেই কিছু না কিছু শিখতে পারি।'

কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে 'হায়ার স্টাডি অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট'বিষয়ক সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত থাকার কারণে তার একাডেমিক পড়াশোনা এবং দেশের বাইরে স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- 'বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমার একাডেমিক পড়াশোনায় কোনো প্রভাব পড়েনি। এবং স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক প্রভাব নয় বরং ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কারণ বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত থাকার ফলে আমি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানো যায় সেটা শিখেছি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে এসব সংগঠন থেকে। যখন বড় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটিতে থেকেছি তখন ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের অনেক অধ্যাপক এবং গবেষকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাদের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছি অনেক। সর্বোপরি এসব সংগঠন আমার স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রেখেছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<56829 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1