শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

নিরাপদ সড়ক দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

বাংলাদেশে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম সড়কপথ। বর্তমান সময় সবচেয়ে আলোচিত ও দুশ্চিন্তার বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে হাজারো মানুষ, ধূলিসাৎ হচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। ২২ অক্টোবর ছিল জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থার চিত্র সন্তোষজনক নয়। প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা, তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছে মানুষ। নিরাপদ সড়ক নিয়ে কী ভাবছে শিক্ষার্থীরা। সেসব ভাবনা ও মতামতগুলো তুলে ধরছেন মো. জুবাইল আকন্দ...
  ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
.

নিরাপদ সড়ক এখন সময়ের দাবি ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী। বর্তমানে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিদিনের অনিবার্য বিষয় হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা, যা কারোরই কাম্য নয়। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃতু্য। মুহূর্তের মধ্যে কেড়ে নিচ্ছে নিরীহ শত শত প্রাণ। দিন দিন যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা, কিন্তু একই তালে বাড়ছে না সড়ক সংখ্যা বা পরিধি। এই কর্মব্যস্ত জীবনে ভোরের রক্তিম আভা পূর্বদিগন্তে প্রস্ফূটিত হতে না হতেই শুরু হয় মানুষের কর্মব্যস্ততা। আর এই ব্যস্ততা থেকেই সৃষ্টি হয় সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শতভাগ মুক্তি সম্ভব নয়। তবে আইনের সহযোগিতা ও সবার সচেতনতা পারে এ অবস্থার উন্নতি ঘটাতে। সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকারে যা করনীয় : সবারই ট্রাফিক আইন মেনে চলা, ত্রম্নটিপূর্ণ সড়কগুলো মেরামত করা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় না চালানো, লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকা, মাদকদ্রব্য সেবন অবস্থায় যানবাহন না চালানো, ওভারটেকিং টেন্ডেন্সি থেকে বিরত থাকা, পথচারীদের ফুটওভারব্রিজ বা ফুটপাত ব্যবহার করা, রাস্তায় কোনো প্রকার দোকানপাট বসতে না দেওয়া, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন সড়কের নির্ধারিত গতিসীমা অনুসরণ করা। এসব নিয়মকানুন অনুসরণের মধ্য দিয়ে আমরা চাইলেই কমাতে পারি সড়ক দুর্ঘটনা। মানুষের পথচলা যতদিন থাকবে, ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনাও ততদিন থাকবে। তবে তা যেন অস্বাভাবিক বা মর্মান্তিক পর্যায়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার স্বীকার কে, কখন, কীভাবে হবে, তা কেউ বলতে পারে না। তাই নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করতে হবে। নিজেদের সচেতনতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় পারে এর প্রতিকার করতে। মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রত্যেকের জীবন সম্ভাবনাময় আর এই সম্ভাবনাময় জীবন যেন অসচেতনতার কারণে হারিয়ে না যায়। তাই আসুন, সবাই মিলে সর্তকতার সঙ্গে পথ চলি, সুন্দর জীবন গড়ি। সড়ক হোক আতঙ্কমুক্ত ও ঝুঁকিশূন্য নুসরাত জাহান জেরিন শিক্ষার্থী, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিসীম। জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদার মতোই, সড়ক আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। জীবিকার্জন, শিক্ষা, চিকিৎসা বা সামান্য কেনাকাটা। কিন্তু যখন সড়কটি পরিণত হয় দুর্ঘটনা এবং মৃতু্যর ফাঁদে, তখন সেই চিন্তা আমাদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে নিরাপদ সড়ক দিবস দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে, কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃতু্যর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নিরাপদ সড়কের নির্দেশনা যেন কেবল কাগজকলমে এবং সেমিনারের কথার ফুলঝুরিতে সীমাবদ্ধ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবে আমাদের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত উঠে আসে। তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও সড়কের উন্নয়ন পরিকল্পনার অভাব, ট্রাফিক আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা, ফুটপাতে পথচারীদের সুবিধা সংরক্ষণে অমনোযোগিতা এবং অবৈধ দোকানপাটের আধিপত্য- এসবই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ডিভাইডার স্থাপন, ট্রাফিক আইন প্রয়োগ এবং দক্ষ চালক তৈরি করার উদ্যোগ রয়েছে। তবে বাস্তবায়নে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র আমাদের সামনে হাজির। সরকারি ও বেসরকারি উভয়পক্ষের সমন্বয়ে পথচারীবান্ধব সড়ক নির্মাণ করা। দক্ষ চালক তৈরির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ। ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। অবৈধ পার্কিং রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ফুটপাতে হকারমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। ট্রাফিক বিভাগের যথাযথ দায়িত্ব পালন। আধুনিক ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থায় মনোযোগ বৃদ্ধি- এমন সব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের উচিত, প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে সময়ের গুরুত্ব বুঝতে সচেতনতা বাড়ানো। প্রত্যাশা, একদিন আমাদের সড়কগুলো আমাদের বাড়ির মতোই আতঙ্কমুক্ত ও ঝুঁকিশূন্য হয়ে উঠবে। নিরাপদ সড়ক চাই মো. আরিফুল ইসলাম আকাশ শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ। নিরাপদ সড়ক আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সড়ক নিরাপত্তা শুধুমাত্র আইন মেনে চলার বিষয় নয়, এটি আমাদের সমাজের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়ক ব্যবহার করেন, কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, সড়ক নির্মাণে মানসম্মত উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সড়কগুলোতে সঠিক চিহ্নিতকরণ এবং সিগন্যাল স্থাপন অপরিহার্য। সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে দ্রম্নতগতি, অদক্ষ চালনা এবং সড়ক চিহ্নের অভাব উলেস্নখযোগ্য। তাই, সড়কগুলোকে নিরাপদ ও ব্যবহার উপযোগী করার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা করা উচিত। দ্বিতীয়ত, চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করা, বিশেষ করে নতুন চালকদের জন্য, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চালকদের সড়ক নিয়ম এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের বিষয়ে সচেতন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তার প্রচার বৃদ্ধি করা গেলে মানুষ অধিক সচেতন হবে। তৃতীয়ত, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়া। নিয়মিত মনিটরিং এবং অভিযান চালানোর মাধ্যমে অবৈধ গাড়ি ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, জরুরি পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ সড়ক সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমরা চাই, এমন একটি সমাজ গড়ে উঠুক, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যের কোঠায় পৌঁছবে এবং নিরাপদ সড়ক আমাদের সবার জন্য হবে একটি বাস্তবতা। নিরাপদ সড়কে নিরাপদ জীবন আবু জাহিদ শিক্ষার্থী, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া। প্রতিবছর ২২ অক্টোবর, আমরা জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর কতশতো লোকের অকাল মৃতু্য সংঘটিত হয়। অনিরাপদ সড়ক, অনিরাপদ যানবাহন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আমরা সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি, আইন প্রয়োগের কঠোরতা নিশ্চিত করি এবং সড়ক ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ করে তুলতে কাজ করি। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি বড় সমস্যা। প্রতিদিনই শত শত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। এই মৃতু্যগুলো শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে ভেঙে দিতে পারে, একটি সমাজকে কাঁপিয়ে তুলতে পারে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, নাগরিক সমাজ এবং আমরা সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারকে সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে। যানবাহন চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা কঠোর করতে হবে এবং যানবাহনগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। পুলিশকে সড়ক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সবাইকে সড়ক ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। হেলমেট পরে মোটর সাইকেল চালাতে হবে, সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাতে হবে এবং মদ্যপান করে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি, আমাদের সবারই সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের পরিবার, বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা একটি সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলি, যেখানে সবাই নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন মো. লিমন হোসেন শিক্ষার্থী, ইসলামিয়া সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ। রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, মনে রাখবেন একটা দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। পথচারীরা রাস্তা পারাপারের সময় অবশ্যই ফ্লাইওভার ব্যবহার করবেন। দুই পাশে ভালো করে দেখে নিবেন। রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন বা কারও সঙ্গে অযথা কথা বলবেন না। রাস্তার সিগন্যাল ও ট্রাফিক আইন মেনে রাস্তা পারাপার হবেন। অনেক সময় পথচারীরা ট্রাফিক আইন তোয়াক্কা না করেই ছুটে চলেন নিজের মতো করে, এতে করেই ঘটছে দূর্ঘটনা। ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং ও আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবীণ, শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী, রোগী ও মালামাল বহনকারীদের রাস্তা পার হওয়া কঠিন। যেসব মা-বাবা তাদের সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যান, তা অবশ্যই রাস্তায় যে ট্রাফিক আইন রয়েছে, সেটি মেনে চলুন। মনে রাখবেন, আপনার সন্তানকে যদি ছোটবেলা থেকে রাস্তায় চলাচল না শেখান, তাহলে বড় হয়ে সেটি অমান্য করে চলবে। এতে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে পারে। ট্রাফিক আইন না মানায় রাস্তার মৃতু্যর হার বেড়েই চলছে। মোটর সাইকেল বেপরোয়াভাবে চলাচল করবেন না। মোটর সাইকেল চলাচলে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। মাথায় হেলমেটসহ যাবতীয় সব আসবাবপত্র ব্যবহার করুন। বেপরোয়া গতিতে চলাচলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা আর এতে আপনার মৃতু্যও হতে পারে। তাই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। যেসব দূরপালস্নার যাত্রীবাহী বাস রয়েছে, যাত্রীদের জানালার বাহিরে হাত দিতে নিষেধ করবেন, কারণ অনেক সময় পেছন থেকে গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে এবং অতিরিক্ত যাত্রী না নিয়ে চলাচলে সাবধান থাকবেন। আসুন, আমরা যারা পথচারী ও ড্রাইভার রয়েছি, আমরা একটু সচেতনতাই পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা কমাতে। আসুন, সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলি, নিজের জীবন রক্ষা করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে