বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

১৭ বছর পদার্পণে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আজ ১২ অক্টোবর উত্তরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংকট এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যায়যায়দিন প্রতিনিধি গাজী আজম হোসেন আবু সাঈদের আত্মত্যাগের নতুন বাংলাদেশের তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য দূর হোক ১৭ বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হোক গবেষণার প্রাণকেন্দ্র। শিক্ষা,গবেষণা,সংস্কৃতি ও শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধনের মাধ্যমে এগিয়ে যাক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আবু সাঈদ নাম দুটি এখন অবিচ্ছেদ্য। আবু সাঈদ যেভাবে বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে গেছে,একই সাথে পরিবর্তন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ। আমরা আশা রাখি সাঈদের আত্মত্যাগের প্রতিদানরূপ হলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। একই সাথে বিশ্বাস রাখি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সাঈদ হত্যার বিচার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। সাবিনা ইয়াসমিন শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বেরোবি এক যুগ পেরিয়ে গেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামক এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত সমাবর্তন হয়নি। যা খুব হতাশাজনক। ১৬ বছরে পদার্পণ করবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় অথচ এখন পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নাই এবং আবাসিক হলের সুবিধা নাই। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনের সঙ্কট বিদ্যমান।একটা ভালো লাইব্রেরি নাই। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেশনজট মুক্ত পূর্ণ আবাসিক ও গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হোক। রোবায়েদ জাহিন শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর ছাত্র সংগঠনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একাডেমিক রেজাল্টের জন্য পরিচিত লাভ করে না। সেখানকার সাংস্কৃতিক চর্চা,বিভিন্ন সংগঠন ও তাদের বহুমুখী কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিতি দান করে। বেরোবিতে রয়েছে অনেক সংগঠন যেমন বিতর্ক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, পরিবেশভিত্তিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন ইত্যাদি। যারা গর্বের সাথে বেরোবিকে নেতৃত্ব দেয় এবং এই সংগঠনগুলো সম্পূর্ণ শিক্ষার্থী পরিচালিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,বিশ্ববদ্যালয় কখনো এই সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেয়না। তাদের বিভিন্ন আয়োজন দেশব্যাপী সমাদৃত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা যথাযথ সম্মান ও উৎসাহ পায়না। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা সংগঠনগুলোকে বাঁচতে দিন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হোক,অতিদ্রম্নত অডিটোরিয়াম স্থাপনের মাধ্যমে মঞ্চ সংকট দূরীভূত করা হোক এবং সংগঠন গুলোকে যথাযথ সম্মানের সহিত স্বাধীনভাবে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেয়া হোক। ইসরাত জাহান টুম্পা শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাক বেরোবি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর উত্তরের বাতিঘর। পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের পাশাপাশি সারাদেশেই জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের আঁতুড়ঘর বলা হয়ে থাকলেও, বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে পিছিয়ে পড়ছে অনেক উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠগুলো। আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও এর বাইরে নয়। তারপরও নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রাণের বিদ্যাপীঠ। ধীরে ধীরে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, গবেষণায় মননিবেশ করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গুটি গুটি পায়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। মনিরুল ইসলাম বকুল শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর জ্ঞানের তকমা বৃদ্ধিতে লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র হলো লাইব্রেরি যাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদপিন্ড বলে অভিহিত করা হয়।জ্ঞানের তকমায় পূর্ণতা লাভে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করা জরুরি। প্রমথ চৌধুরীর ভাষায়, 'লাইব্রেরীর সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয়।' গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শ্রেষ্ঠ পস্নাটফর্ম। আর গবেষণার পূর্বশর্ত হলো বই পড়ার মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা। গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির বিশাল সংগ্রহশালায় নিজের রুচি, মনন ও প্রয়োজনীয় গ্রন্থ পাওয়া যায়। এই কারণে জ্ঞানার্জনের জন্য গ্রন্থাগার ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজন।জ্ঞানলাভের সর্বোচ্চ জায়গা হচ্ছে লাইব্রেরি। জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় নামে খ্যাত লাইব্রেরি যেন সমৃদ্ধ হয়, আসন সংখ্যা এবং বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আ.স.ম রোকনুজ্জামান নাহিদ শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।